কলকাতা বিমানবন্দরে অপেক্ষারত যাত্রীরা।—ছবি পিটিআই।
ধর্মঘট মানেই রাস্তা অবরোধ, মারপিট, আগুন, অশান্তি— এখনও বেশির ভাগ মানুষের মনে এই ছবিটাই গেঁথে রয়েছে।
বুধবার ভোরের আগেই আমতলার বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন কিরণ মণ্ডল। ভোর সাড়ে চারটের মধ্যে পৌঁছে যান বিমানবন্দরে। দুপুর আড়াইটেয় উড়ান, যাবেন শ্রীলঙ্কা হয়ে দুবাই। তাঁর কথায়, ‘‘কে ঝুঁকি নেবে? অশান্তি হবে না, এমন গ্যারান্টি কি আছে?’’ অনেক আগেই বিমানবন্দরে পৌঁছে যান উত্তর ২৪ পরগনার বেড়াচাঁপার নারায়ণচন্দ্র দে-ও। সঙ্গে স্ত্রী, মেয়ে ও নাতনি। জামাই রয়েছেন আগরতলায়। তাঁর কথায়, ‘‘চিন্তায় ছিলাম, যদি রাস্তায় গন্ডগোলে পড়ে সময়ে পৌঁছতে না পারি!’’
যদিও বিমানবন্দর ঘিরে অশান্তির ছিটেফোঁটাও ছিল না। উড়ান ছেড়েছে সূচি মেনেই। তবে যাত্রিসংখ্যা ছিল কম। অনেকেই যাত্রা বাতিল করেছিলেন। বিমানবন্দর থেকে বাস যাতায়াত করেছে অন্য দিনের মতোই। আদতে বেহালার বাসিন্দা, বর্তমানে ভোপালের একটি সংস্থার কর্মী বিপিন ঝা সকালে কলকাতায় এসে বাসে চেপে গন্তব্যে পৌঁছন। অ্যাপ-ক্যাব এবং ট্যাক্সি অবশ্য অতিরিক্ত টাকা হেঁকেছে। টার্মিনালের বাইরে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই যে ‘হেল্পলাইন’ ট্যাক্সি বুথ গড়ে উঠেছে, সেখানে সল্টলেক স্টেডিয়াম যেতে ৫৫০ টাকা চাওয়া হয়েছে। নিউ টাউন যেতে ৭৫০ টাকা দিতে হবে শুনে ছিটকে বেরিয়ে এসেছেন দম্পতি। সাধারণ ট্যাক্সি কম ছিল বলে অনেকে অবশ্য বাধ্য হয়েই বেশি ভাড়া দিয়েছেন।
ধর্মঘট সমর্থনে বিমানবন্দরের কর্মী সংগঠন কিছু ক্ষণের জন্য ‘প্রতীকী’ কর্মবিরতি পালন করে বলে ইউনিয়নের নেতা প্রদীপ শিকদার জানিয়েছেন।