এ ভাবেই ওঠানামা। টালিগঞ্জ স্টেশনে অরুণ লোধের তোলা ছবি।
ভিড় ঠেলে ট্রেন থেকে নামাই কষ্টকর। দরজার কাছে পৌঁছেও দুশ্চিন্তা মুক্ত হতে পারেন না যাত্রীরা। কারণ, প্ল্যাটফর্মের বেশ খানিকটা অংশ বেশ নিচু। পা বাড়িয়ে প্ল্যাটফর্মের নাগাল পাওয়া যায় না। এক দিকে, পিছন থেকে ভিড়ের গুঁতো। অন্য দিকে, সামনে ট্রেনে ওঠার অপেক্ষায় যাত্রীরা। দুইয়ের মাঝে বেসামাল হলেই বিপদ। এ ছবি টালিগঞ্জ স্টেশনের। প্রতি দিন এ ভাবেই ঝুঁকি নিয়ে ওঠা-নামা করেন পূর্ব রেলের শিয়ালদহ-বজবজ, শিয়ালদহ-ক্যানিং শাখার যাত্রীরা। রেলের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, কাজ চলছে।
টালিগঞ্জ স্টেশনের হাল এমনিতেই বেশ খারাপ। প্ল্যাটফর্মের একটি অংশ ভেঙে গিয়েছে। রেলের বারবার প্রতিশ্রুতির পরেও প্ল্যাটফর্ম সারাই হয়নি। কিন্তু এখন সমস্যা আরও ভয়াবহ হয়ে দঁড়িয়েছে। কারণ, প্ল্যাটফর্মের মাঝের অংশ ক্রমশ নিচু হয়ে যাচ্ছে। রেলের আশঙ্কা, প্ল্যাটফর্মের ওই অংশ বসে যাচ্ছে। দ্রুত তা খতিয়ে দেখতে রেলের অফিসারেরা পরিদর্শনে আসবেন বলে রেল সূত্রের খবর। সম্প্রতি স্টেশনে ছাউনি বসানোর কাজ হয়েছে। তার জেরেই প্ল্যাটফর্মের ওই অংশ বসে যাচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখবে রেল।
এক ছাত্রী পূজা রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন থেকে নামতে হয়। কোনও ভাবে পা ফসকে গেলে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। বহু দিন ধরেই এ ভাবেই যাতায়াত করছি।’’ প্রায় একই সমস্যা বালিগঞ্জ, যাদবপুর স্টেশনেও।
হাওড়া স্টেশনের নতুন কমপ্লেক্সেও একই সমস্যা ছিল। প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের কামরা থেকে প্রায় আড়াই ফুট নীচে ছিল। সম্প্রতি প্ল্যাটফর্মে ঢালাই করে সেই ব্যবধান কমানো হয়েছে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, ‘‘পূর্ব রেলের যে সব স্টেশনে ট্রেনের কামরা থেকে প্ল্যাটফর্মের ব্যবধান অনেকটা বেশি, সেই সব স্টেশনগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।’’ তিনি জানান, মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা হচ্ছে।