—ফাইল ছবি
ফের চলন্ত লোকাল ট্রেনের যাত্রীর উপরে আচমকা ছুটে এল কিছু। যার জেরে আহত হলেন এক পুরুষ এবং মহিলা যাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে, বিধাননগর এবং দমদম স্টেশনের মাঝে। আহতের নাম এমিলি ঘোষ দাস। তিনি বেলঘরিয়ার নিমতার বাসিন্দা।
রেলপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অফিস ফেরত ওই মহিলা যাত্রী দরজার কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। স্টেশন ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের গতিও ভালই ছিল। আচমকা সজোরে কিছু একটা কানের নীচে লাগতেই হকচকিয়ে ওঠেন ওই মহিলা। আতঙ্কিত ওই যাত্রী দেখেন, তাঁর গাল বেয়ে রক্ত ঝরছে। মহিলার দাবি, রেললাইনের ধার থেকে ছোড়া পাথরের আঘাতেই তিনি জখম হয়েছেন। অন্য দিকে, ওই রাতেই ট্রেনের দরজার কাছাকাছি থাকা এক পুরুষ যাত্রীও কিছুর আঘাতে ঠোঁটে চোট পেয়েছেন বলে জানিয়েছে রেলপুলিশ। আহত সেই ব্যক্তির নাম রমেশ মণ্ডল, তিনি দমদমের পূর্ব সিঁথির বাসিন্দা।
মাস খানেক আগে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় লোকাল ট্রেনে পাথর ছোড়ার প্রবণতা মনে করিয়ে দিচ্ছে এই ঘটনা। স্বাভাবিক ভাবেই যাত্রীদের আতঙ্কিত প্রশ্ন, ‘‘তা হলে কি আবার পাথর ছোড়া শুরু হল!’’
রেলপুলিশ সূত্রের খবর, এমিলি রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ আপ নৈহাটি লোকাল ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। বেলঘরিয়ায় নামবেন বলে তিনি ট্রেনের দরজার সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমিলি জানান, বিধাননগর ছাড়ার পরে আচমকাই ভারী কিছু কামরায় লাগার শব্দ হয়। এর পরেই গালে সজোরে কিছু লাগে। এমিলির কথায়, ‘‘কয়েক জন সহযাত্রী ভিতরে নিয়ে আমাকে বসান। বাঁ কানের নীচে হাত দিয়ে দেখি, রক্ত ঝরছে। রুমাল দিয়ে চেপে ধরে কোনও মতে বেলঘরিয়ায় নামি।’’
রেলপুলিশ প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ওই মহিলাকে কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পরিজনেরা তাঁকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এমিলি বলেন, ‘‘চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া হিংস্রতা। ওখানে কোনও বাচ্চা বা বয়স্ক থাকলে, আরও বড় অঘটন ঘটতে পারত।’’ রেলপুলিশ সূত্রের খবর, ঠোঁটে চোট পাওয়া রমেশ দমদম জিআরপিতে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে ফিরে যান।
প্রাথমিক তদন্তের পরে রেলপুলিশের অনুমান, পাথর নয়। লাইন ঘেঁষে থাকা কোনও গাছের ডাল সজোরে লেগেছে। অথবা কোনও পোকার কামড়ে ওই যাত্রীরা জখম হয়েছেন। ঘটনার তদন্ত করছে দমদম জিআরপি।