বিমানবন্দরে ঢোকার আগেই ব্যাগে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল এক্স-রে ট্যাগ। যা বিমানবন্দরে এক্স-রে করার পরেই পাওয়ার কথা। ফলে ব্যাগ সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিমানের পেটে। ফেরত আনিয়ে দেখা গেল, সেই ব্যাগে রয়েছে প্যাকেট ভর্তি গাঁজা। মঙ্গলবার কলকাতা থেকে পোর্ট ব্লেয়ার যাওয়ার পথে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসারদের হাতে ধরা পড়েন এমনই এক যাত্রী।
দমদমের বাসিন্দা ওই যাত্রী গোপাল নায়েককে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। তাঁকে জেরায় জানা গিয়েছে, একটি বিমান সংস্থায় কর্মরত ঠিকাদার সংস্থার কর্মী সানি হেলার নাম। বিমানবন্দরে কাজ করার সুবাদে সানিই তাঁকে ওই এক্স-রে ট্যাগ জোগাড় করে দেন বলে জানিয়েছেন গোপাল। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সানিকে। অফিসারদের আশঙ্কা, দেশের নিরাপত্তার সামনে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে এই ঘটনা। সামান্য টাকার বদলে কেউ এ ভাবে ব্যাগে বিস্ফোরক নিয়ে উঠে ক্ষতি করতে পারেন শতাধিক যাত্রীরও।
মঙ্গলবার বিকেলের উড়ানে কলকাতা থেকে পোর্ট ব্লেয়ার যাওয়ার পথে এক্স-রে করার সময়ে ব্যাগে গাঁজা-সহ প্রথমে ধরা পড়েন মিঠু রায় এবং তৃষ্ণা বিশ্বাস নামে দু’জন। এনসিবি অফিসারেরা তাঁদের জেরায় জানতে পারেন গোপালের কথা। গোপাল ততক্ষণে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঢুকে পড়েছেন। তাঁর ব্যাগ চলে গিয়েছে বিমানের পেটে। এর পরে গোপাল ও তাঁর ব্যাগ ফিরিয়ে আনা হয়। এনসিবি জানিয়েছে, মিঠু, তৃষ্ণা ও গোপালের কাছে মোট ২২ কিলোগ্রাম গাঁজা মিলেছে। ভারতের অন্যত্র কিলোগ্রাম প্রতি এই গাঁজা ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও আন্দামানে গিয়ে দাম দশগুণ বেড়ে যায়।