বিধাননগর

বাড়ছে গাড়ির চাপ, তীব্র পার্কিং সমস্যা

দৃশ্য ১) গ্যারাজ ও প্যাসেজে না ধরায় সামনের ফুটপাথেই রয়েছে গাড়ি। দৃশ্য ২) বড় রাস্তার ধারে ব্লকের একটি বাড়িতে বেসরকারি সংস্থার অফিস চলে। তারই সামনের ফুটপাথ আর রাস্তা জুড়ে গাড়ির ঢল। দৃশ্য ৩) হাসপাতাল চত্বরের বাইরে পার্কিং লট। সার দিয়ে দাঁড় করানো অসংখ্য গাড়ি। সার্ভিস রোড এমনকী রাস্তার একাংশও গাড়ির দখলে। দৃশ্য ৪) চার রাস্তার মোড়েই অটো, ট্যাক্সির স্ট্যান্ড।

Advertisement

কাজল গুপ্ত

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৫ ০১:০৯
Share:

অবাধে পার্কিং। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।

দৃশ্য ১) গ্যারাজ ও প্যাসেজে না ধরায় সামনের ফুটপাথেই রয়েছে গাড়ি।

Advertisement

দৃশ্য ২) বড় রাস্তার ধারে ব্লকের একটি বাড়িতে বেসরকারি সংস্থার অফিস চলে। তারই সামনের ফুটপাথ আর রাস্তা জুড়ে গাড়ির ঢল।

দৃশ্য ৩) হাসপাতাল চত্বরের বাইরে পার্কিং লট। সার দিয়ে দাঁড় করানো অসংখ্য গাড়ি। সার্ভিস রোড এমনকী রাস্তার একাংশও গাড়ির দখলে।

Advertisement

দৃশ্য ৪) চার রাস্তার মোড়েই অটো, ট্যাক্সির স্ট্যান্ড।

দৃশ্য ৫) রাস্তার ধারেই বেসরকারি স্কুল। পার্কিং লট নেই। অতএব রাস্তার দু’পাড় জুড়ে গাড়ির মেলা।

দৃশ্য ৬) শপিং মলের বাইরে, রাস্তার চার ধারে গাড়ির দখলদারি।

এমন খণ্ডদৃশ্যগুলিকে জোড়া দিলে বিধাননগরের পার্কিং সমস্যার করুণ অবস্থা ফুটে ওঠে। পাঁচ বছর আগেও এমনই ছিল। পুরসভা ও রাজ্য সরকার সমস্যা সমাধানে নানা পরিকল্পনার
কথা জানিয়েছিল। আখেরে লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।

বিধাননগরে জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গাড়ির সংখ্যা। নানা অফিস, শপিং মল, বিনোদন কেন্দ্র, তথ্যপ্রযুক্তি তালুক— সব মিলিয়ে অসংখ্য গাড়ি বিধাননগরে আসা-যাওয়া করে। ফলে পার্কিং সমস্যা জটিল আকার নিয়েছে। বাম আমলে ১৩টি পার্কিং লট হয়েছিল। তার পরে কিছুই হয়নি। ফলে চাপ সামলাতে অফিসপাড়ার পাশাপাশি ব্লকের রাস্তাও দখল করে গাড়ি রাখা হয়। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে সে কারণে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটেছে।

সল্টলেকের পিএনবি মোড় থেকে বৈশাখী হয়ে করুণাময়ী পর্যন্ত রাস্তা, পিএনবি থেকে সুশ্রুত আইল্যান্ড, সিএ আইল্যান্ড থেকে পূর্তভবন আইল্যান্ড, করুণাময়ী মোড়, সিটি সেন্টারের চারদিক, বিভিন্ন হাসপাতাল এলাকা, ১০ নম্বর ট্যাঙ্ক মোড় থেকে জে কে সাহা সেতুর ধার, কোনও অনুষ্ঠান থাকলে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের চারপাশের রাস্তা গাড়ি পার্কিংয়ের দখলে চলে যায়।

যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা স্ট্যান্ডও রাস্তা দখল করছে বলে অভিযোগ। চেয়ারপার্সন পারিষদ অশেষ মুখোপাধ্যায় জানান, ১৩টি পার্কিং লটের মাধ্যমে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। তবে চাহিদা বাড়ছে। পুরসভা ও রাজ্য সরকার সমস্যা মেটাতে পরিকল্পনা করছে। ইতিমধ্যে পাঁচ নম্বর সেক্টরের পার্কিং লট করা হয়েছে। পার্কোম্যাট করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আগেই জানিয়েছেন, বিধাননগরেও পার্কোম্যাট করার চেষ্টা হচ্ছে। যদিও প্রশাসনের তরফে তেমন কোনও প্রচেষ্টা চোখে পড়েনি বলেই অভিযোগ বাসিন্দাদের। বিধাননগরের পুর-কর্তৃপক্ষ জানান, পার্কোম্যাট করার পরিকল্পনা থাকলেও জমির সমস্যা রয়েছে। যদিও পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী জানান, পরিকল্পনা রয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে তা কার্যকরী হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement