প্রতীকী ছবি।
স্ত্রী অভিযোগ করলেন স্বামীর বিরুদ্ধে। স্বামী অভিযোগ করলেন নিজের বাবার বিরুদ্ধে। পারিবারিক হিংসার এমন দু’টি অভিযোগের ভিত্তিতে বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করল বিধাননগর পুলিশ। বৃহস্পতিবার বাগুইআটির ঘোষপাড়ার ঘটনা। ধৃতদের বিরুদ্ধে মারধর, খুনের চেষ্টার অভিযোগ রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঘোষপাড়ার বাসিন্দা অনুপ সোমের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার রাতে দু’টি অভিযোগ জমা পড়ে বাগুইআটি থানায়। যার পরেই অনুপ সোম ও তাঁর ছেলে অপূর্ব সোমকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে অপূর্বর সঙ্গে তাঁর মায়ের বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, মাকে মারধর করেন অপূর্ব। অভিযোগ, শাশুড়িকে বাঁচাতে গিয়ে পুত্রবধূ শম্পাও প্রহৃত হন। এর পরে গোলমাল থামাতে যান অনুপবাবু। কিন্তু তিনিও অপূর্বকে শান্ত করতে পারেননি। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন অনুপবাবু ভারী কোনও বস্তু দিয়ে অপূর্বর মাথায় আঘাত করেন। তাতে মাথা ফেটে যায় ছেলের। কিন্তু তাতেও অপূর্ব শান্ত হননি। তার পরেই অনুপবাবু ছাদে উঠে গিয়ে নিজের বন্দুক থেকে শূন্যে দু’রাউন্ড গুলি ছোড়েন।
গুলির শব্দ পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। রাতে শম্পা সোমের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামী অপূর্বকে এবং অপূর্বর অভিযোগের ভিত্তিতে অনুপবাবুকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত অপূর্বর অভিযোগ, সে দিন সকালে বাড়ি ফিরে মায়ের কাছে খাবার চান তিনি। কিন্তু খাবার না দিয়ে মা পরিবারে টাকার জোগান বাড়াতে বলেন। তা নিয়েই বচসা শুরু হয়। বচসার মাঝে বাবা অনুপবাবু তাঁকে মারধর করেন বলে অপূর্বর অভিযোগ। অপূর্বর বিরুদ্ধে অভিযোগে তাঁর স্ত্রী শম্পা জানিয়েছেন, বচসার সময়ে অপূর্ব তাঁকে এবং তাঁর শ্বশুর ও শাশুড়িকে মারধর করেছেন।
পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে তারা জেনেছে, পারিবারিক অশান্তির জেরে উত্তেজিত হয়েই শূন্যে গুলি ছুড়েছিলেন অনুপবাবু। তবে তাঁর আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। এলাকাবাসীর একাংশের বক্তব্য, পারিবারিক অশান্তি হতেই পারে। কিন্তু তার জন্য শূন্যে গুলি ছোড়াটা অভিপ্রেত নয়। তা থেকে অসাবধানতাবশত কোনও বিপদ ঘটে যেতে পারত।
পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগে গুলি ছোড়ার কোনও উল্লেখ নেই। এমনকী, কী ধরনের বন্দুক থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে, তা নিয়েও পুলিশ কিছু জানায়নি। বিধাননগরের এক পুলিশকর্তা জানান, অভিযোগে গুলি চালানোর কথা না থাকলেও সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।