ফাইল চিত্র।
এ বার সামনে এল ভুয়ো অডিয়ো-বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ। যেখানে বলা হয়েছে, পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে লুটপাট চালানো হচ্ছে। ওই অডিয়ো-বার্তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার। পুলিশ জানিয়েছে, আতঙ্ক ছড়াতেই এই কাজ করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরতে থাকা একটি অডিয়ো-বার্তায় নিজের নাম প্রকাশ না করেই এক ব্যক্তি দাবি করেছেন, তাঁর পরিচিত এক জনের বাড়িতে রাত ২টো নাগাদ পুলিশ সেজে কয়েক জন হানা দিয়েছিলেন। বক্তার পরিচিত ওই ব্যক্তি সপরিবার অজয়নগরে থাকেন। সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে গভীর রাতে বেল বাজানো হলে জানলা দিয়ে গৃহকর্তা দেখেন, পুলিশের মতো পোশাক ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কয়েক জন দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
আগন্তুকেরা উল্টো দিকের ফাঁকা বাড়ি দেখিয়ে সেই সম্পর্কে জানতে চান। অডিয়োয় বলা হয়েছে, যে বাড়িটি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়, সেই বাড়ির অনেকের কোভিড ধরা পড়ায় তাঁরা দেশের বাড়িতে গিয়েছেন। সে কথা শোনার পরেও আগন্তুকেরা বাড়িতে বসে বয়ান রেকর্ড করতে চান বলে অডিয়ো-বার্তায় দাবি করা হয়েছে। তাতে অবশ্য গৃহকর্তা রাজি হননি। অডিয়োয় আরও দাবি করা হয়েছে, পরদিন স্থানীয় ‘মুকুন্দপুর থানা’য় বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এমন তিন-চারটি দল গত কয়েক দিনে সক্রিয় হয়েছে। ফাঁকা বাড়ি বা জমি সম্পর্কে তথ্য জানার অছিলায় পুলিশের পোশাকে বাড়ি ঢুকে লুটপাট চালায় তারা!
শুক্রবারই কলকাতা পুলিশ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তাদের এলাকায় মুকুন্দপুর নামে কোনও থানা নেই! যে জায়গার কথা অডিয়োয় উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি পূর্ব যাদবপুর থানার অন্তর্গত। ওই থানাও জানিয়েছে, তাদের কাছে এমন অভিযোগ আসেনি। অজয়নগরে গিয়েও লালবাজারের বিশেষ তদন্তকারী দল কিছু পায়নি। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার এক কর্তা বলেন, “অডিয়োটির উৎস খুঁজে বার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমন গুজবে আতঙ্কিত হবেন না।”