প্রতীকী ছবি।
তাঁকে ঘিরে গত সোমবার গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ ওঠার তিন দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার রাতে হোমে থাকা তাঁর বৃদ্ধা মায়ের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও এখনও নিরাপদ কোনও ঠাঁই পেলেন না পঞ্চসায়রের সেই মহিলা। যে হোমে তিনি এখন থাকছেন, সেটির মালিক শুক্রবার দাবি করেছেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের কাছে উড়ো ফোন এসেছিল। ওই ফোনে বলা হয়েছে, মহিলাকে অন্য কোথাও না সরালে খারাপ হয়ে যাবে। ওঁকে আমরা রাখতে পারব না। পঞ্চসায়র থানায় আমরা উড়ো ফোনের ডায়েরি করেছি!’’
ঘটনার তদন্তে কলকাতায় আসা জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদলের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘নির্যাতনের শিকার এক মহিলাকে তো সরকারি হোমে রাখার কথা। তার বদলে তিনি যে হোম থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, সেটির মালিকেরই অন্য একটি হোমে মহিলাকে রাখা হচ্ছে। এ জিনিস হয় কী করে?’’ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা-প্রধান মুরলীধর শর্মা এ দিন জানান, এ ক্ষেত্রে প্রথমে ওই মহিলার পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। পরিবারের লোকেরা মহিলাকে কোনও সরকারি হোমে পাঠাতে চাননি। তাঁরাই ওই ‘সেবা ওল্ড এজ হোম’-এ মহিলাকে রেখেছেন।
এ ব্যাপারে মহিলার দিদি অবশ্য বললেন, ‘‘প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি। সেবা ওল্ড এজ হোমের যে বাড়িতে আমার বোনকে এখন নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে, সেখানে নাকি আর রাখতে পারবেন না হোমের মালিক। হোমটির ঘর ভাড়ায় নেওয়া, বাড়ির মালিক সমস্যা করছেন। পুলিশই আমার বোনকে ভাল কোথাও নিয়ে গিয়ে রাখুক।’’
অভিযোগকারী মহিলা এ দিন বলেন, ‘‘দিদি তো আমাকে মায়ের সঙ্গে রাখবে বলে হোমে পাঠিয়েছিল। মা-ই তো আর নেই। হোমে থেকে কী করব? আমি বাড়ি যাব।’’