সুসজ্জিত: সংস্কারের পরে প্যাডল স্টিমারটি। নিজস্ব চিত্র
প্রায় আশি বছরের পুরনো প্যাডল স্টিমারকে সাজিয়ে গঙ্গাবক্ষে ঐতিহ্য-ভ্রমণে ব্যবহার করতে চলেছেন কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। ব্রিটেনের ডাম্বারটন শিপ-ইয়ার্ডে ১৯৪৪ সালে নির্মিত ৬৩ মিটার লম্বা এবং ৯.২ মিটার চওড়া ‘পি এস ভূপাল’ নামে ওই স্টিমারটি এখন দেশের একমাত্র প্যাডল স্টিমার।
প্যাডল স্টিমারের পিছনে বা পাশে অতিকায় চাকার আকৃতির প্যাডল লাগানো থাকে। যা ঘোরার ফলে জল কেটে সেটি এগিয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ডিজ়েল ইঞ্জিন এবং প্রপেলার বসানো হয়েছে। কর্মোক্ষম না-হলেও প্যাডলটি ঘুরবে। ঐতিহ্য রক্ষায় সেটি থাকছে স্টিমারে। দীর্ঘদিন খিদিরপুর ডকে ছিল এটি। প্রথম দিকে বন্দরের জাদুঘর হিসেবে এবং পরে প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা হত স্টিমারটিকে। বছর তিনেক আগে এটিকে গঙ্গাবক্ষে ঐতিহ্য-ভ্রমণে ব্যবহার করার কথা ভাবেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার। দরপত্রের মাধ্যমে বরাত পাওয়া একটি বেসরকারি সংস্থা প্রায় ছ’কোটিটাকা খরচে একশো যাত্রীর সফরোপযোগী করে তুলেছে জলযানটিকে। যেখানে প্রদর্শনী, রেস্তরাঁও থাকছে।
কলকাতা বন্দরের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় জানান, হাওড়া সেতু থেকে খিদিরপুর ডকের মধ্যে চার ঘণ্টার সফর। আর তখনই দু’ধারের বিভিন্ন ঘাটের ইতিহাস, কলকাতা বন্দরের পত্তনের ইতিহাস এবং ঔপনিবেশিক কর্মকাণ্ড সংক্ষেপে তুলে ধরা হবে। ব্রিটিশশাসনকালে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের বিদেশে নিয়ে যেতে যে ঘাট ব্যবহার করা হত, সেখানকার ঐতিহাসিক স্মারকও দেখানো হবে। সফরের খরচ পাঁচশো টাকা প্রায়। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে এটিকে যাত্রীদের জন্য চালু করার কথা ভাবা হয়েছে। এ জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক বার মহড়া হয়ে গিয়েছে।