উমা সেস
আমরির নার্স উমা সেস-এর মৃত্যুর রেশ কাটেনি শনিবারেও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি পরিবারের ভূমিকায় এ দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিভিন্ন নার্স ও কর্মী সংগঠন। এখানেই থেমে না থেকে প্রতিবাদ করার প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলে নার্সদের সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে।
ওড়িশা থেকে আসা উমার পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন আমরি কর্তৃপক্ষ। জানিয়েছিলেন এটা ক্ষতিপূরণ নয়, আর্থিক সাহায্য। উমার পরিবারের লোকেরা হাসপাতাল বা থানায় কোনও অভিযোগ না জানিয়েই চলে যান। তাই মৃতদেহের কোনও ময়না তদন্তও হয়নি। এখানেই তীব্র আপত্তি জানিয়েছে নার্সদের সংগঠনগুলি।
শনিবার সল্টলেক আমরির কর্মী ইউনিয়নের প্রধান তুলসী সিংহরায় বলেন, ‘‘বৃহত্তর আন্দোলনের কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু তাঁর পরিবারই যদি অভিযোগ না জানায়, তবে তো আমাদের লড়াইয়ের কোনও অর্থই নেই। ভবিষ্যতে যাতে এ ভাবে হেনস্থা না হতে হয় সে দিকে নজর রাখব।’’ ক্ষুব্ধ রাজ্য নার্সেস ইউনিটি। ইউনিটির তরফে বলা হয়, ভাই-বোন আর অসহায় বিধবা মায়ের এক মাত্র ভরসা ছিলেন উমা। মেয়ের মৃত্যুতে কার্যত দিশাহারা তিনি। আর্থিক দিক থেকে দুর্বল পরিবারটির ভাষার সমস্যা ছিল। সেই সুযোগ নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সংগঠনের সম্পাদক পার্বতী পাল বলেন, ‘‘উমার মাকে ঘিরে রেখেছিলেন কর্তৃপক্ষ। ওই টাকায় মেয়েটির মূল্যায়ন হতে পারে না। এই বঞ্চনা সামনে আসার পরে কর্পোরেট হাসপাতালের অমানবিকতা আইনের মাধ্যমে বদল আনতে এ বার তৈরি হবে সংগঠন। নিজস্ব কর্মীদের চিকিৎসা ভার যাতে হাসপাতালই বহন করে তার জন্য আইন তৈরির ভাবনা-চিন্তা করা হবে।’’ এ সব অভিযোগের উত্তরে আমরির সিইও রূপক বড়ুয়া বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীদের জন্য যাবতীয় নীতি রয়েছে। কিন্তু উমার ক্ষেত্রে কেন তা মানা হয়নি, তা তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট জমা পড়লে সিদ্ধান্ত নেবেন কর্তৃপক্ষ।’’