Dengue

ডেঙ্গি কমার দাবি উড়িয়ে পুরসভায় ধুন্ধুমার বিরোধীদের

ডেঙ্গিতে মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না কেন, বৈঠকে তা জানতে চান স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। চিকিৎসা পরিকাঠামোয় কোনও ফাঁক আছে কি না, তা নিয়েও আলোচনা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

ডেঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্যকর্তাদের উদ্বেগের তালিকায় রয়েছে কলকাতা। অথচ, বুধবার পুরসভার মাসিক অধিবেশনে পরিসংখ্যান দিয়ে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ দাবি করলেন, শহরে ডেঙ্গি পরিস্থিতি আদৌ ‘ভয়ানক নয়’। যা নিয়ে ধুন্ধুমার বেধে যায়। ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগে অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম কাউন্সিলরেরা।

Advertisement

বুধবারও বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যসচিব। আজ, বৃহস্পতিবার সংক্রামক রোগ, মেডিসিন ও শিশুরোগ চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন স্বাস্থ্যকর্তারা। ডেঙ্গিতে মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না কেন, বৈঠকে তা জানতে চান স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। চিকিৎসা পরিকাঠামোয় কোনও ফাঁক আছে কি না, তা নিয়েও আলোচনা হয়। এ দিন ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় নতুন অ্যাডভাইজ়রিও প্রকাশ করেছেস্বাস্থ্য ভবন।

এ দিন পুর অধিবেশনে কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক মুলতুবি প্রস্তাব আনেন। তাঁর অভিযোগ, “ওয়ার্ডে তেলের বদলে জল স্প্রে করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের আরও প্রশিক্ষণ দরকার।” অভিযোগ অস্বীকার করে অতীন বলেন, ‘‘কলকাতায় বা রাজ্যে যত জন আক্রান্ত হয়েছেন, তা জনসংখ্যার শতাংশের বিচারেও আসবে না।’’ বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝা বলেন, ‘‘ডেঙ্গিতে যাঁরা সন্তান হারিয়েছেন, তাঁদের কাছেও কি এই পরিসংখ্যান দিয়ে বলবেন, এটা কিছুই না!’’ এর পরে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলতে শুরু করলে তৃণমূল কাউন্সিলরেরা হইচই শুরু করেন। অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করে বিরোধীরা মেয়রের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘আগের তুলনায় ডেঙ্গি কমেছে। শীতে আরও কমবে। ফাঁকা জমিতে ময়লা ফেললে আইনভঙ্গকারীর যাতে তিন গুণ জরিমানা ও জেল হয়, সে বিষয়ে আইন আনতে সরকারকে বলেছি।’’

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতরের অ্যাডভাইজ়রিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি ফিভার ক্লিনিক চালানোর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের সহকারী সুপারের। ডেঙ্গি পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টাই সচল রাখতে হবে ল্যাবরেটরি। রিপোর্ট সরাসরি ওয়ার্ডে পৌঁছতে হবে। অন্তর্বিভাগের রোগীদের চিকিৎসার নথি আপডেটেড রাখতে হবে। জোর দেওয়া হয়েছে পরিচ্ছন্নতার উপরেও। ব্লাড ব্যাঙ্কে প্লেটলেট মজুতেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে জ্বরের চিকিৎসায় যুক্তদের নিয়ে বৈঠক করতে হবে সুপারকে। এ দিনের বৈঠকে রোগীদের ১৪ দিন প্রাইমাকুইন খাওয়ার তাৎপর্য সম্পর্কে বোঝাতে বলা হয়েছে। ম্যালেরিয়ার উপসর্গযুক্তদের রক্ত পরীক্ষার আগেই প্রাইমাকুইন খেতে বলা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement