বেপরোয়া গতিতে একটি মোটরসাইকেল চেপেই যাচ্ছিল চার স্কুলপড়ুয়া। কারও মাথাতেই ছিল না হেলমেট। হঠাৎ একটি সাইকেলকে পাশ কাটাতে গিয়েই হল বিপত্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল মোটরসাইকেলটি। ছিটকে পড়ে চালক-সহ চার আরোহী। আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয় এক জনকে।
পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পর্ণশ্রী থানা এলাকার বীরেন রায় রোডের (পশ্চিম) প্যাটন ট্যাঙ্ক কারখানার সামনে। মৃত আকাশ ধর (১৮) একাদশ শ্রেণির ছাত্র। আহত আকাশ সান, আকাশ ঘড়ুই ও কুঞ্জ মল্লিক বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভর্তি। তারা সকলেই বীরেন রায় রোডের বাসিন্দা ও একই স্কুলের ছাত্র। তাদের কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে বাইকে দ্রুত গতিতে শকুন্তলা পার্কের দিক থেকে বেহালা চৌরাস্তার দিকে যাচ্ছিল ওই চার পড়ুয়া। আকাশ ধর বসেছিল মাঝখানে। বাইক চালাচ্ছিল আকাশ সান। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানান, প্যাটন ট্যাঙ্ক কারখানার সামনে হঠাৎই এক সাইকেল আরোহী তাদের বাইকের সামনে চলে আসে। তখন সাইকেল মাঝে ফেলে রেখেই রাস্তার ধারে লাফিয়ে পড়েন আরোহী। পুলিশের দাবি, গতি বেশি থাকায় মোটরবাইকটি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। তা সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে ওই সাইকেলে। ছিটকে পড়ে চার জন। হাসপাতালে আকাশ ধরকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এই দুর্ঘটনায় ফের শহরের রাস্তায় বেপরোয়া মোটরবাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন পুলিশেরই একাংশ। ট্রাফিক পুলিশের চোখ এড়িয়ে কী ভাবে একটি মোটরবাইকে চার জন উঠেছিল, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। লালবাজারের ট্রাফিক বিভাগের এক কর্তার অবশ্য দাবি, বেপরোয়া মোটরবাইকের বিরুদ্ধে নিয়মিত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশের একাংশ অবশ্য দাবি করছে, ঘটা করে ‘রোড পুলিশিং’ করা হলেও তা যথেষ্ট নয়। অভিযোগ, পুলিশকর্মীরা কোথায় দাঁড়িয়ে ওই ‘রোড পুলিশিং’ বা তল্লাশি চালাচ্ছেন তা আগে থেকেই জেনে যান এলাকার বাইকআরোহীরা। ওই এলাকা এড়িয়ে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে তাঁরা অন্য রাস্তায় বেপরোয়া ভাবে মোটরবাইক চালান। লালবাজার সূত্রে খবর, বেপরোয়া বাইক চলাচল আটকাতে ফের অভিযান শুরু করা হবে।
এ দিনই লেনিন সরণিতে রাস্তা পার হতে গিয়ে ট্যাক্সির ধাক্কায় আহত হন এক ব্যক্তি। পুলিশ জানায়, আহত নীলকান্ত সেন (৬৮) বৌবাজারের বাসিন্দা। আহত অবস্থায় তিনি এনআরএসে ভর্তি। গ্রেফতার হয়েছে ওই ট্যাক্সিচালক।