প্রতীকী ছবি।
কলকাতায় পুলিশের মারধরে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। গল্ফগ্রিন থানার পুলিশের বিরুদ্ধে যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় গল্ফগ্রিন থানার তিন পুলিশকর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিক, কনস্টেবল, সিভিক ভলান্টিয়ারকে ক্লোজ করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ডিসির নেতৃত্বে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। থানার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, থানার সিসিটিভি ফুটেজে, ৩১ জুলাই রাত ১০টা ২৬ মিনিট নাগাদ দীপঙ্করকে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে তাঁকে বেরোতে দেখা গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েক জনকে দেখা গিয়েছে। যুবকের মেডিক্যাল রিপোর্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঠিক কী ঘটেছে?
জানা গিয়েছে, গত ৩১ জুলাই আজাদগড় এলাকায় দীপঙ্কর সাহা নামে এক যুবকের বাড়িতে যান পুলিশকর্মী পরিচয় দেওয়া দুই ব্যক্তি। পরিবারের দাবি, ‘বড় বাবু ডাকছেন’, এই বলে দীপঙ্করকে থানায় নিয়ে যান ওই দুই ব্যক্তি। ওই দিন রাতে জখম অবস্থায় বাড়িতে ফেরেন দীপঙ্কর।
পরিবারের দাবি, দীপঙ্কর বাড়ি এসে জানান যে, তাঁকে পুলিশ কিছুটা দূর পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছে। তার পর তিনি নিজেই বাড়ি এসেছেন। পুলিশকর্মীরা তাঁকে মারধর করেছেন বলেও মা’কে জানান দীপঙ্কর। তাঁর গোটা শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, এর পরই রাতে দীপঙ্করের জ্বর আসে। গত ২ অগস্ট তাঁকে শিশুমঙ্গল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, দীপঙ্করের ডান হাতের কবজিতে চিড় রয়েছে। তার পর সেদিন দীপঙ্করকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন তাঁর পরিজনরা।
পরিবার সূত্রে দাবি, এর পর গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দীপঙ্করের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ইসিজি করার পর চিকিৎসকরা জানান, দীপঙ্করের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশি অত্যাচারে তাঁদের বাড়ির ছেলের মৃত্যু হয়েছে, এ নিয়ে গল্ফগ্রিন থানার দ্বারস্থ হন দীপঙ্করের পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের দাবি, পুলিশের তরফে তাঁদের আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে যে, দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কলকাতা পুরভোটে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন দীপঙ্করের দাদা রাজীব সাহা। রাজনৈতিক কারণে দীপঙ্করের এই পরিণতি বলে সন্দেহ করছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।