অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় জখম ১

অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় জখম হলেন এক ব্যক্তি। সোমবার ভোরে গড়িয়াহাটের কাছে। প্রদীপ গায়েন নামে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে উঠে এল আরও একটি বিষয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:২০
Share:

অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় জখম হলেন এক ব্যক্তি। সোমবার ভোরে গড়িয়াহাটের কাছে। প্রদীপ গায়েন নামে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে উঠে এল আরও একটি বিষয়। মালিকানা বদলে যাওয়ার পরে অনেক ক্ষেত্রে পরিবহণ দফতরের কাছে পুরনো রেজিস্ট্রেশনই রয়ে যায়।

Advertisement

পুলিশ জানায়, যে অ্যাম্বুল্যান্স দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে, তার চালকের আসনে ছিলেন বছর আঠেরোর যুবক আমন মল্লিক। আমন বাঙুর হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দা। ওই হাসপাতালের এক রোগীকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে ভোরে ফিরছিলেন তিনি। গোলপার্কের মোড়ের কাছে তাঁর তিন চাকার গাড়ি নিয়ে ওই মোড়ে চলে আসেন প্রদীপবাবুও। অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় তাঁর হাত ও ডান চোখে গুরুতর আঘাত লাগে।

খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সটির রেজিস্ট্রেশন রয়েছে আন্দুলের ‘জোড়হাট বয়েজ ক্লাব’-এর নামে। ওই ক্লাবের সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘‘গাড়িটি আমরা ২০০৮ সালে বিক্রি করে দিয়েছি টালিগঞ্জের বাসিন্দা এক মহিলার কাছে।’’ ২০০৮-এ মালিকানা বদলে যাওয়ার পরেও পরিবহণ দফতরের খাতায় পুরনো রেজিস্ট্রেশনই রয়ে যায় কী করে, সে বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘এমনটা হামেশাই হয়। যতক্ষণ না গাড়ির মালিকানা বদলানোর পরে মালিক নিজে সরকারকে জানাচ্ছেন, ততক্ষণ সরকারের জানার উপায় নেই।’’

Advertisement

আমনের পরিবার জানিয়েছে, গত দু’বছর ধরে অ্যাম্বুল্যান্স চালাচ্ছেন আমন। প্রশ্ন উঠেছে, এখন যদি তাঁর বয়স ১৮ হয় তা হলে কি ১৬ বছর বয়স থেকে, নিয়ম ভেঙে তিনি অ্যাম্বুল্যান্সটি চালাচ্ছিলেন? নাবালক অবস্থায় কী করে লাইসেন্স পেয়েছিলেন তিনি সে প্রশ্নও উঠেছে। গাড়ির মালকিন (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)-কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর দাবি, ‘‘আমি নিজেই দীর্ঘ ছ’-সাত বছর ধরে ওই অ্যাম্বুল্যান্সটি চালাই। সোমবার ভোরে রোগীকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ফোন এলে, আমার ভাইপো আমনকে বলেছিলাম পৌঁছে দিতে। ওর আঠেরো বছর হয়ে গিয়েছে। এর আগে কখনও আমার গাড়ি চালায়নি ও।’’ সোমবার আদালতে তোলা হলে আমন জামিন পান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement