কলকাতা পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
বাতিল সামগ্রীর চারটি লট তৈরি করে ই-নিলামে তুলেছিলেন কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ। তাঁদের আশা ছিল, নিলামের মাধ্যমে প্রায় ৬৯ লক্ষ টাকা পুর ভাঁড়ারে আসবে। কিন্তু মাত্র একটি লটের নিলাম হয় এবং ২৬ লক্ষ টাকা তা থেকে আসে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, এটা স্বাভাবিক। সব সময়েই যে প্রত্যাশিত দাম পাওয়া যায় বা বাতিল সামগ্রীর সমস্তটাই বিক্রি হয়, তেমনটা নয়।
পুর প্রশাসন সূত্রের খবর, পুরসভার ‘কনডেম্ড স্টোর ইয়ার্ড’-এ বাতিল সামগ্রী জমা হয়। সেই জায়গা মশার প্রজননস্থল হয়ে ওঠা আটকাতে ও বাতিল সামগ্রী বিক্রি করে রাজস্ব লাভের জন্য তার ই-নিলাম করা হয় নির্দিষ্ট সময় অন্তর। বাতিল সামগ্রীকে চারটি লটে ভাগ করে তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করেছিল পুরসভা। যার মধ্যে ছিল বাতিল লোহামিশ্রিত ধাতব পদার্থ (ফেরাস স্ক্র্যাপ), লোহামিশ্রিত নয় এমন ধাতব পদার্থ (নন ফেরাস স্ক্র্যাপ), ব্যাটারিজনিত বাতিল সামগ্রী (ব্যাটারি স্ক্র্যাপ) এবং বৈদ্যুতিক বাতিল সামগ্রী (ইলেকট্রিক্যাল আইটেম)। প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার জন্য সংশ্লিষ্ট সামগ্রীর ধার্য দাম-সহ তালিকা ‘কনডেম্ড কমিটি’-র বৈঠকে পেশ করা হয়। কমিটি খুঁটিয়ে দেখার পরে পুরসভার অনুমোদন-সহ ই-নিলাম হয়। তবে চারটি লটের বদলে একটি লটের জিনিস বিক্রি হয়েছে। মিলেছে ২৬ লক্ষ ৪ হাজার ৪২০ টাকা। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘নির্দিষ্ট সময় অন্তর নিলাম হয়। আগামী দিনে ওই তিন লট বিক্রি হতেই পারে।’’