প্রতীকী ছবি।
বৃষ্টির মধ্যে বেপরোয়া গতিতে মোটরবাইক চালাতে গিয়ে পিছলে গিয়েছিল চাকা। তখনই সেতুর ডিভাইডারে ধাক্কা মারে বাইকটি। এ ভাবে বৃহস্পতিবার, ষষ্ঠীর সকালে বিজন সেতুতে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন এক যুবক। আহত ওই বাইকটির চালকও। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুরজ সাউ (২২)। আহতের নাম শশী গুপ্ত। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ বিজন সেতুতে ওই দুর্ঘটনায় বাইক থেকে দূরে ছিটকে পড়েন বছর তেইশের শশী ও সুরজ। শশীর বাড়ি সেবক বৈদ্য রোডে আর সূরজের ল্যান্সডাউন প্লেসে। ঘটনায় দু’জনেই গুরুতর ভাবে জখম হন। এক জনের মাথা ডিভাইডারে লেগে থেঁতলে যায়। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে এসএসকেএমে নিয়ে যায়। সেখানেই মারা যান সুরজ। শশী সঙ্কটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, রাতে প্রতিমা দেখতে বেরিয়ে ভোরে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। সে সময়ে তাঁদের বাইকের গতি বেশি ছিল এবং তাঁরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা পুলিশের।
পুজো শুরু হতেই রাতের দিকে হেলমেট ছাড়া বেপরোয়া গতিতে বাইক চালানোর প্রবণতা বেড়েছে বলে খবর। তবে এ বার পুজোর ভিড় কম হওয়ায় বেপরোয়া বাইকের দিকে নজর দেওয়ার জন্য পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার।অন্য দিকে, বুধবার সন্ধ্যায় বাসের তলায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল স্কুটার আরোহী এক মহিলার। পুলিশ জানায়, স্ত্রী শাহিন আফরোজকে (৪৫) স্কুটারের পিছনে বসিয়ে ভোজেরহাটের বাড়িতে ফিরছিলেন আহমেদ রাজা খান। বামনঘাটা বাজারের কাছে একটি বাসকে জায়গা ছাড়তে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দু’জনে রাস্তায় ছিটকে পড়েন।
স্কুটারের ডান দিকে পড়ে যাওয়া শাহিনের মাথায় হেলমেট থাকলেও তা ঠিকমতো লাগানো ছিল না। ফলে হেলমেট খুলে যায়। তখনই বাসটির চাকা তাঁকে পিষে দেয়। স্থানীয়েরা বাসটিকে আটকে অবরোধ শুরু করেন। পরে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয় এবং বাসচালক ফুলকুমার মিশ্রকে গ্রেফতার করে।