—প্রতীকী চিত্র।
পুজোর শহরে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক তরুণের। গুরুতর জখম অন্য দুই তরুণ। তাঁরা সকলেই একটি মোটরবাইকে ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তবে তাঁরা হেলমেট পরে ছিলেন কি না, স্পষ্ট নয়। আহতদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুজোর শহরে মোটরবাইকের দৌরাত্ম্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রমোদভ্রমণ বা ‘জয়রাইড’-এর নামে রাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ও মোটরবাইক ছোটানো নিয়ে পুলিশের তরফেও সচেতনতার প্রচার চালানো হয়েছে। পুজোকর্তাদের সঙ্গে পুলিশের বৈঠকেও বিষয়টি উঠেছিল। কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল বিষয়টি আলাদা করে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথাও জানান। কিন্তু আদৌ যে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তা এই ঘটনাতেই স্পষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে ষষ্ঠীর রাত তিনটে নাগাদ। মৃতের নাম ধীরাজ মুখোপাধ্যায় (২৩)। বাড়ি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার পাঁচপোতায়। সেখান থেকে মোটরবাইকে সিদ্ধার্থ দাস নামে বছর একুশের এক তরুণকে সঙ্গে নিয়ে বেরোন তিনি। এর পরে তাঁরা মনু প্রসাদ নামে বছর বাইশের আরও এক তরুণকে বাইকে তোলেন। তার পরে বেরিয়ে পড়েন প্রতিমা দেখতে।
ধীরাজের বাইক ছাড়া আরও একটি মোটরবাইকে কয়েক জন ছিলেন। পুলিশের অনুমান, বাইপাসের দিক থেকে বারখোলা রোড ধরে সন্তোষপুরের দিকে প্রতিমা দেখতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সার্ভে পার্ক থানা এলাকার জোড়া ব্রিজের কাছে ধীরাজের মোটরবাইকটি পথ-বিভাজিকায় ধাক্কা মারে। এর পরে সেটি পথ-বিভাজিকার উপরে উঠে যায়। ধীরাজ-সহ বাইকে থাকা তিন জন ছিটকে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ধীরাজকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশের ফেটাল স্কোয়াড। ঘটনায় শোকে পাথর ধীরাজের পরিজনেরা। ফোনে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও কেউই কথা বলতে চাননি।