দেবাঞ্জন দেব ফাইল চিত্র
ভুয়ো টিকা-কাণ্ডে এক যুবককে আটক করল কলকাতা পুলিশ। যুবকের নাম শান্তনু মান্না। তিনি মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের সহযোগী। কসবার ওই ভুয়ো টিকাকরণ শিবিরের বিশেষ দায়িত্বে শান্তনু ছিলেন বলে সূত্রের খবর।
কসবায় ভুয়ো টিকা শিবিরের তদন্তে ধৃত দেবাঞ্জন দেবকে জেরা করে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বৃহস্পতিবার রাতে দেবাঞ্জনকে জেরা করেন কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় দেবাঞ্জন জানিয়েছেন, কী ভাবে ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিলেন তিনি।
কোভিড অতিমারি শুরু হতেই মাস্ক, পিপিই কিট, স্যানিটাইজারের ব্যবসা শুরু করেন দেবাঞ্জন। মেহতা বিল্ডিং থেকে ওই সমস্ত সামগ্রী কিনে চলত ব্যবসা। অবৈধ কারবার রক্ষায় কলকাতা পুরসভার প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্য তৈরি করেন তিনি। এর পর থেকেই পুরসভায় অবাধ প্রবেশের দরজা খুলে যায় দেবাঞ্জনের। আইএএস অফিসার পরিচয়ে নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরতে থাকেন।
শুধু তাই নয়, কলকাতা পুরসভার নামে বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলেন তিনি। তদন্তে জানা যাচ্ছে, দেবাঞ্জন কলকাতার দু’টি বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলেন। একটা কলকাতা পুরসভার নামে। আর সেই অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে পুরসভার নগর পরিকল্পনা বিভাগের দু’জন আধিকারিকের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও আদতে সেই দুই আধিকারিকের কোনও অস্তিত্বই নেই ওই বিভাগে। অর্থাৎ ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহার করে বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল।