স্টলে আগুন, মৃত্যু যুবকের

সরকারি জায়গায় জবরদখল ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শহর তৈরিতে তাঁদের জমি গিয়েছে, এই অজুহাতে হিডকোর জমি জবরদখল করেই স্থানীয় লোকজন তৈরি করে ফেলেছেন খাবারের দোকান, যেগুলির সিংহভাগই কোনও না কোনও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার সামনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৭ ০০:৫৮
Share:

দাউদাউ : নিউ টাউনে পুড়ছে ঝুপড়ি। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

সরকারি জায়গায় জবরদখল ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শহর তৈরিতে তাঁদের জমি গিয়েছে, এই অজুহাতে হিডকোর জমি জবরদখল করেই স্থানীয় লোকজন তৈরি করে ফেলেছেন খাবারের দোকান, যেগুলির সিংহভাগই কোনও না কোনও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার সামনে। তেমনই একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার সামনে থাকা খাবারের স্টলে রবিবার গভীর রাতে আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় ওই সংস্থার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিকের।

Advertisement

নিউটাউনের গীতাঞ্জলি পার্কে একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার অফিসের সামনে রয়েছে অন্তত ৬০টি খাবারের দোকান। রবিবার গভীর রাতে সেখানে আগুন লাগে। দমকলের তিনটি গাড়ি ঘটনাস্থলে যায়। দমকলের ধারণা, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লেগেছিল। দর্মা, প্লাস্টিক-সহ নানা ধরনের দাহ্য বস্তুর কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

নিউ টাউন থানার পুলিশ জানায়, ঝুপড়ি দোকানগুলিতে যখন আগুন লাগে, তখন ওই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার নিরাপত্তা কর্মীরা চেষ্টা করেছিলেন আগুন নেভানোর কাজে দোকানদারদের সাহায্য করতে। তখন আগুনের ভিতর থেকে বিস্ফোরণ হয়। তাতে মৃত্যু হয় জয়ন্ত মণ্ডল (৩২) নামে ওই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার এক নিরাপত্তা কর্তার। তাঁর পরিবারের তরফ থেকে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ২৫টির মতো দোকান পুড়েছে। সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় জঞ্জাল সরিয়ে ফের নতুন করে দোকান তৈরির তোড়জোড় চলছে সেখানে। দোকানদারেরা জানান, শনি ও রবিবার সব দোকান বন্ধ থাকে। তাই তাঁদের দাবি, আগুন লাগার পিছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে। দোকানদারেরা জানান, হিডকো অনেক দিন ধরেই তাঁদের উঠে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। দোকানদারদের দাবি, নিউ টাউন তৈরির সময় তাঁদের জমি গিয়েছে। এখন দোকান বন্ধ করে দিতে হলে তাঁদের উপোস করতে হবে।

হিডকো অবশ্য, সরকারি জায়গা দখল করে এ ভাবে খাবারের দোকান চালাতে দিতে নারাজ। সেই কারণেই মাস তিনেক আগেই ইউনিটেক-এর উল্টো দিকে ফুটপাথের খাবার বিক্রেতাদের জন্য ‘ফুড মার্কেট’ তৈরি করে দিয়েছে হিডকো।

আধিকারিকেরা জানান, এক বার পুনর্বাসনের কথা ঘোষণা হলেই বৈধ, অবৈধ-দু’ধরনের ব্যবসায়ীরা এসেই নিজেদের পুনর্বাসনের দাবিদার বলে হিডকোর কাছে দোকান দাবি করে। তাই ফুড স্টল তৈরির কাজ বাধা পায়। গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেই পুনর্বাসনের তালিকা তৈরি করতে হয়। আপাতত পুরনো নিউ টাউন থানার কাছে ফুড কোর্ট তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন এ দিন বলেন, ‘‘ওই ভাবে অবৈজ্ঞানিক উপায়ে নিউ টাউনে খাবারের দোকান চলতে দেওয়া হবে না। বিভিন্ন জোন তৈরি করে খাবারের দোকান হবে। তার জন্য বিকল্প জমির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement