প্রতীকী চিত্র
বিপজ্জনক বাড়ির বারান্দা ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল এক কিশোরের। জখম হয়েছেন আরও এক জন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়, বড়বাজার থানা এলাকার ১৫ নুরমল লোহিয়া লেনে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বিশাল মণ্ডল (১৭)। তার বাড়ি বসিরহাটের চাঁপাতলা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, নুরমল লোহিয়া লেনের একটি আটতলা পুরনো বাড়ির মাঝখানে বারান্দা রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ওই বাড়ির ছ’তলার বারান্দা আচমকা ভাঙতে থাকে। সেই সময়ে তেতলার বারান্দায় ছিল বিশাল। আগামী ১৭ তারিখ তার জন্মদিন। সেই উপলক্ষে জিনিসপত্র কিনে সে বাবার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। কিন্তু সেই সময়ে তার বাবা সেখানে ছিলেন না। আর তখনই চারতলার বারান্দা, অর্থাৎ তিনতলার বারান্দার ছাদ ভেঙে পড়ে। বিশাল
তিনতলার বারান্দায় থাকায় তাকে নিয়েই পুরো বারান্দা ভেঙে একেবারে নীচে পড়ে যায়। সেই ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে যায় বিশাল। খবর পেয়ে বড়বাজার থানার পুলিশ এবং দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পৌঁছে যায় কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে বিশালকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর সুনীতা ঝাওয়ার। তিনি রাতে জানান, বাড়িটি দীর্ঘ দিনের পুরনো।
বাণিজ্যিক কারণে ব্যবহার হত। প্রতিটি তলায় ১০-১২ টি করে অফিস ছিল। পুরসভার তরফ থেকে বিপজ্জনক হিসেবে ঘোষণাও করা হয়েছিল। কিন্তু তিন-চার জনের শরিকি মালিকানা থাকায় দীর্ঘ দিন ধরে বাড়িটির পুরো সংস্কার হয়নি। তাঁর অভিযোগ, ওই বাড়ির অনেকাংশ ভেঙেও গিয়েছিল। ফলে যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা ছিলই।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় আরও এক জন চাপা পড়েছিলেন। কিন্তু তাঁর চোট সামান্য। তাঁকেও উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ দিকে ঘটনার পরে ভেঙে পড়েছেন বিশালের বাবা। তিনি অফিসে না থাকায় বেঁচে গিয়েছেন। কিন্তু ছেলে দেখা করতে এসে এ ভাবে প্রাণ হারাবে তা তিনি ভাবতেও পারেননি।
দমকল ও কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল রাতেই ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু করেছে।