প্রতীকী ছবি।
স্কুটারে হাওয়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলার জেরে দিন সাতেক আগে কসবায় একটি দোকানের মালিককে ব্যাপক মারধর করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত রমাপ্রসাদ হালদারের (৫৭) মৃত্যু হল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে তিনি মারা যান। ওই ঘটনায় মলয় পাত্র নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, ঘটনায় জড়িত এখনও তিন জন ফেরার। তাদের খোঁজ চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কসবার রাজডাঙার বাসিন্দা রমাপ্রসাদবাবুর বি বি চ্যাটার্জি রোডে একটি সাইকেল ও মোটরবাইক সারানোর দোকান রয়েছে। গত ১২ জুন রমাপ্রসাদবাবু ও তাঁর ছেলে আশিস দুপুরে খাওয়াদাওয়া সেরে দোকানে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। দুপুর ১টা নাগাদ তিন যুবক স্কুটারে চেপে রমাপ্রসাদবাবুর দোকানের সামনে আসে। তারা চিৎকার করে বলতে থাকে স্কুটারটিতে হাওয়া দেওয়ার জন্য। রমাপ্রসাদবাবু ও তাঁর ছেলে ওই যুবকদের তিনটের পরে আসতে বলেন। রমাপ্রসাদবাবুরা জানান, তাঁদের দোকান তখন বন্ধ।
আশিস বলেন, ‘‘ওরা তিন জন বাবা ও আমার সঙ্গে ভীষণ খারাপ ব্যবহার করে চলে যায়। পরে ফের তিনটে নাগাদ স্কুটার ও মোটরবাইকে চেপে চার যুবক হাজির হয়।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওরা এসেই হাতুড়ি ও লোহার জিনিসপত্র দিয়ে বাবার মাথার জোরে আঘাত করে। বাবা ছিটকে পড়ে যান। আমি ছুটে গিয়ে এক জনকে ধরে ফেললেও বাকিরা টান মেরে তাকে নিয়ে পালিয়ে যায়।’’ চিৎকার শুনে স্থানীয়েরা ছুটে এসে বাবা ও ছেলেকে প্রথমে ই এম বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে আশিসকে ছেড়ে দেওয়া হলেও রমাপ্রসাদবাবুকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়।
পরের দিন রমাপ্রসাদবাবুর মাথায় অস্ত্রোপচার হয়। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ১৬ জুন ছেড়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর অবস্থার অবনতি হলে ফের তাঁকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হলে রাত ১২টা নাগাদ তিনি মারা যান।
লালবাজারের এক কর্তা জানান, চার জনের বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এক জন গ্রেফতার হলেও বাকি তিন জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। রমাপ্রসাদবাবুর ছেলে আশিস বলেন, ‘‘আশা করব বাবার খুনিদের কঠোর শাস্তি হবে।’’