প্রতীকী ছবি
গত বছরের জুন মাসে কড়েয়া থানা এলাকার ব্রড স্ট্রিটে নিজের বাড়িতে খুন হন অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ বিশ্বজিৎ বসু। প্রায় আট মাস পরে ওই ঘটনায় শুক্রবার মুর্শিদ শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মুর্শিদই ঘটনায় অভিযুক্ত বলে দাবি তদন্তকারীদের। তার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার পারুলিয়া কোস্টাল থানা এলাকায়। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃতকে শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১০ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তদন্তকারীরা জানান, নিহতের বাড়িতে অভিযুক্ত চুরি করতে ঢুকেছিল। কিন্তু বৃদ্ধ দেখে ফেলায় তাঁর গলায় ছুরি চালিয়ে পালায় মুর্শিদ। পালানোর সময়ে সে বিশ্বজিৎবাবুর মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায়। গত আট মাস ধরে ফোনটি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি তদন্তকারীরা জানতে পারেন বিশ্বজিৎবাবুর ফোনটি পারুলিয়া কোস্টাল থানা এলাকার পারদা গ্রামে এক জন ব্যবহার করছেন। সেখানে পৌঁছে পুলিশ জানতে পারে পুরনো জিনিসপত্র কেনাবেচা করেন এমন এক ব্যক্তি ফোনটি ব্যবহার করছেন। তিনি অন্য এক জনের কাছ থেকে কিনেছিলেন। সেই সূত্রেই মুর্শিদের খোঁজ পায় পুলিশ।
অন্য দিকে চোদ্দো মাস কেটে গেলেও তপসিয়া রোডে লেদ কারখানার মালিককে খুনের ঘটনার কিনারা হয়নি এখনও। শৈলেন অধিকারী (৫৪) নামে ওই ব্যক্তির দেহ কারখানার ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল।