প্রতীকী চিত্র।
বাসে উঠে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। যাত্রীদের একাংশ নিজেদের ব্যাগ খুলে দেখিয়ে পুলিশকে সাহায্য করছেন। এরই মধ্যে এক যাত্রী সিটে বসে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে। তার পায়ের সামনে রাখা একটি ব্যাগ। সন্দেহ হওয়ায় ওই ব্যাগটি তল্লাশি করে পুলিশ। আর তাতেই উদ্ধার হয় অস্ত্রের সম্ভার। যার মধ্যে রয়েছে কার্বাইনের মতো অস্ত্রও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে ডানকুনি টোল প্লাজ়ার কাছে। রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফের গোয়েন্দারা ওই ব্যাগ থেকে কার্বাইন মেশিনগান, পাঁচটি সেভেন এমএম পিস্তল এবং বারো রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছেন। এর মধ্যে দু’রাউন্ড গুলি কার্বাইনের, বাকি দশ রাউন্ড সেভেন এমএম পিস্তলের। অস্ত্র পাচারের অভিযোগে অমর কুমার নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দারা। তার বাড়ি বিহারের মুঙ্গেরে।
এসটিএফের দাবি, মুঙ্গের থেকে ওই অস্ত্র ও কার্তুজ আনা হয়েছিল কলকাতা এবং আশপাশের এলাকায় পাচার করার উদ্দেশ্যে। পুলিশি তল্লাশি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুষ্কৃতীরা কখনও লরিতে আবার কখনও যাত্রিবাহী বাসে করেও অস্ত্র পাচার করছে। এর আগে লরিতে করে পাচারের সময়ে উদ্ধার হয়েছিল কিছু অস্ত্র। এ বার কলকাতায় অস্ত্র পৌঁছতে যাত্রী সেজে এসেছিল ওই দুষ্কৃতী।
এক তদন্তকারী অফিসার জানান, এর আগে একাধিক বার কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে অস্ত্র পৌঁছে দিয়েছে অমর। কলকাতা বা শহরের উপকণ্ঠে কোথায়, কাদের কাছে ওই অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল, তা জানার জন্য জেরা করা হচ্ছে তাকে।
গোয়েন্দারা জানান, এমনিতে কার্বাইনের মতো অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটে না বললেই চলে। তবে গত এক সপ্তাহে এই রাজ্যের দু’টি জায়গা থেকে কার্বাইনের মতো অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। গত রবিবার আসানসোলের পাণ্ডবেশ্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক দুষ্কৃতীকে। তার কাছ থেকে একটি কার্বাইন পাওয়া যায়। ওই দুষ্কৃতীর সঙ্গে মুঙ্গেরের বাসিন্দা অমরের যোগ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।