—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মেট্রোয় যাত্রীসংখ্যার নিরিখে চতুর্থীকেও ছাপিয়ে গেল পঞ্চমী। শুক্রবার কলকাতা মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, পঞ্চমীর দিন মেট্রোয় সওয়ার হয়েছেন আট লক্ষ যাত্রী। বুধবার চতুর্থীর দিন সংখ্যাটা ছিল সাড়ে সাত লক্ষ। ভিড়ের নিরিখে সব স্টেশনকে ছাপিয়ে গিয়েছে দমদম। বৃহস্পতিবার দমদম স্টেশনে যাত্রীসংখ্যা ছিল ৮০,৩৬২। ভিড়ের নিরিখে দমদমের পরই ঠাঁই করে নেয় এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন (৬৩,১৮৯)। তার পরে আছে যথাক্রমে কালীঘাট এবং শোভাবাজার-সুতানুটি।
শুক্রবার মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার ব্লু লাইন (দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত)-এ মোট যাত্রীসংখ্যা ছিল ৭,৯২,০৬০। বৃহস্পতিবার গোটা দিনে ২৮৮টি (১৪৪টি আপ এবং ১৪৪টি ডাউন) মেট্রো যাত্রীদের পরিষেবা দিয়েছে।
মেট্রো সূত্রে খবর, গত এক মাস ধরে মেট্রোয় যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পুজোর আগে শহরে মেট্রোয় চেপেই কেনাকাটা করেছেন বেশির ভাগ মানুষ। সেই সঙ্গে ছিল নিত্যযাত্রীদের ভিড়। রবিবার, প্রতিপদ থেকে সেই ভিড় ক্রমে বেড়েছে। বুধবার খোলা ছিল স্কুল, কলেজ, অফিস। সে কারণে পুজোর ভিড়ের পাশাপাশি মেট্রোয় ছিল নিত্যযাত্রীদের ভিড়। পরিসংখ্যান বলছে, ১৮ অক্টোবর, চতুর্থীতে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় যাতায়াত করেছেন সাত লক্ষ ৪৯ হাজার ১৬০ জন। গোটা দিনে ওই লাইনে মোট ২৮৮টি ট্রেন চলেছে।
মেট্রোর তরফে আগেই জানানো হয়েছে যে, সপ্তমী থেকে নবমী উত্তর-দক্ষিণ লাইনে সারা রাত চলবে মেট্রো। এই তিন দিন পূর্ব-পশ্চিম করিডোরে ট্রেন চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত। যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপও করেছে মেট্রো রেল। দক্ষিণেশ্বর, দমদম, বেলগাছিয়া, শ্যামবাজার, শোভাবাজার-সুতানুটি, মহাত্মা গান্ধী রোড, সেন্ট্রাল, যতীন দাস পার্ক, কালীঘাট, রবীন্দ্র সরোবর, কবি নজরুল, কবি সুভাষ, শিয়ালদহ এবং বেঙ্গল কেমিক্যাল— এই স্টেশনগুলিতে ঠাকুর দেখতে আসা মানুষের ভিড় বেশি হবে ধরে নিয়েই আরও অধিক সংখ্যায় রেল সুরক্ষা কর্মী (আরপিএফ) মোতায়েন করা হচ্ছে। আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় থাকছে পাঁচ সদস্যের কুইক রেসপন্স টিম এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল।