Crime

বৃদ্ধাকে মেরে, হাত-পা বেঁধে ডাকাতি

মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আগরপাড়ার তারাপুকুরে। পুলিশ জানায়, বৃদ্ধা অমিতা আচার্য এখন সুস্থ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২০ ০১:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

গোঙানির আওয়াজ শুনে সন্দেহ হয়েছিল পড়শিদের। ৭০ বছরের বৃদ্ধা বাড়িতে একা আছেন জেনে সেই সন্দেহ আরও বাড়ে। কোনও মতে বাইরে থেকে জানলা খুলতেই দেখা যায়, বৃদ্ধার গলায় তার পেঁচানো। হাত-পা কাপড় দিয়ে বাঁধা। এর পরে ছাদের ভাঙা দরজা দিয়ে নীচে নেমে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে পড়শিরা জানতে পারেন, দুই দুষ্কৃতী ঢুকে তাঁকে মারধর করে গয়নাগাঁটি লুট করে পালিয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আগরপাড়ার তারাপুকুরে। পুলিশ জানায়, বৃদ্ধা অমিতা আচার্য এখন সুস্থ। তবে ওই রাতে লুটপাট সেরে পালানোর সময়ে পাঁচ নম্বর রেলগেটের সামনে নেপাল দাস নামে এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে খড়দহ থানার পুলিশ। তার থেকে উদ্ধার হয়েছে লুট হওয়া গয়না। ব্যারাকপুরের ডিসি (সেন্ট্রাল) আশিস মৌর্য বলেন, ‘‘দলের বাকি দু’জনের খোঁজ চলছে।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, ছেলে কুণাল ও বৌমার সঙ্গে থাকেন অমিতাদেবী। মঙ্গলবার রাতে কুণাল ও তাঁর স্ত্রী বাড়ি ছিলেন না। বৃদ্ধা জানিয়েছেন, রাতে তিনি মশারির মধ্যে শুয়ে ছিলেন। আচমকাই মাস্কে মুখ ঢাকা দুই যুবক এসে তাঁকে টানাটানি করতে থাকে। অভিযোগ, তারা দাবি করে, টাকা-গয়না কোথায় আছে বলতে হবে। অমিতাদেবী বলেন, ‘‘আমি কিছু জানি না বলতেই ওরা রড দিয়ে মারে। চুল ধরে টেনে নামিয়ে লাথি, চড় মারতে থাকে। তার পরে হাত-পা বেঁধে দেয়।’’ বৃদ্ধা জানান, এর পরেই আলমারি খুলে লুটপাট চালানো হয়। বেশ কিছু ক্ষণ পরে গোঙানির আওয়াজ শুনে আসেন পড়শিরা। বৃদ্ধাকে প্রথমে পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও পরে আর জি করে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।

Advertisement

পুলিশের অনুমান, ছাদের দরজা ভেঙে ঢুকেছিল দুই দুষ্কৃতী। দলের আর এক জন বাইরে পাহারায় ছিল। ঘটনার এক দিন পরেও আতঙ্ক কাটেনি বৃদ্ধার। সব জানিয়ে খড়দহ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কুণাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement