ছেলের সামনেই বাসে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু বৃদ্ধের

পুলিশ সূত্রের খবর, নাকতলার দুর্গাপ্রসন্ন পরমহংস রোডের বাসিন্দা দেবদাসবাবু রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। হৃদ্‌রোগে ভুগছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৯ ০৩:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ডাক্তার দেখিয়ে ছেলের সঙ্গে ওষুধের দোকানে ঢুকেছিলেন ঊনআশি বছরের বৃদ্ধ। ফেরার পথে ছেলের চোখে‌র সামনেই সরকারি বাসের চাকার নীচে চাপা পড়েন তিনি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যান ওই বৃদ্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে গড়িয়া মোড়ের কাছে রাজা সুবোধচন্দ্র মল্লিক রোডে। মৃত বৃদ্ধের নাম দেবদাস চট্টোপাধ্যায়। আটক করা হয়েছে বাস এবং চালককে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, নাকতলার দুর্গাপ্রসন্ন পরমহংস রোডের বাসিন্দা দেবদাসবাবু রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। হৃদ্‌রোগে ভুগছিলেন তিনি। ক্যানসারে আক্রান্ত স্ত্রী ভারতী চট্টোপাধ্যায় শয্যাশায়ী। তাঁদের এক ছেলে দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। এ দিন বিকেলে আচমকা দেবদাসবাবু অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই খবর পেয়ে ছেলে অফিস থেকে বাড়ি চলে আসেন। সন্ধ্যায় স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে বাবাকে নিয়ে যান দেবাঞ্জন। জানতে পারেন, বাবার স্ট্রোক হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। ওই চিকিৎসক সেই মুহূর্তের জন্য দেবদাসবাবুকে কিছু ওষুধ লিখে দেন। বাড়ি ফেরার পথে বাবাকে নিয়ে ছেলে সেই ওষুধই কিনতে ঢুকেছিলেন।

দেবাঞ্জন পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁকে জানিয়েই দেবদাসবাবু গড়িয়া মোড় সংলগ্ন পাঁচ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের কাছে প্রস্রাব করতে যান। সেই সময়েই এসটি-৬ রুটের একটি সরকারি বাস ডিপো থেকে বেরোতে গিয়ে দেবদাসবাবুকে ধাক্কা মারে। তিনি রাস্তায় পড়ে গেলে তাঁর উপর দিয়ে ওই বাসের চাকা চলে যায়। স্থানীয় লোকজনের চিৎকারে স্ট্যান্ডের উল্টো দিকের দোকান থেকেই দেবাঞ্জন ঘুরে দেখেন, বাবাকে বাসের নীচে পড়ে যেতে। যত ক্ষণে বাবাকে বাঁচাতে দৌড়ে যান, তত ক্ষণে দেবদাসবাবুর কোমরের উপর দিয়ে বাসের চাকা চলে গিয়েছে। গড়িয়া মোড়ের ট্র্যাফিক সার্জেন্ট ঘটনাস্থল পৌঁছে দেবদাসবাবুকে দ্রুত উদ্ধার করে গাঙ্গুলিবাগান সংলগ্ন হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন রাতে দেবদাসবাবুর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকেরা জানান, চাকা কোমরের উপর দিয়ে চলে যাওয়ায় তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।

Advertisement

পুলিশ রাতেই চালক-সহ ওই সরকারি বাসটিকে আটক করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement