তদন্তে পুলিশ। প্রতীকী ছবি
বাড়ির সামনের গুমটিতে দিনের পর দিন বসছিল নেশার আসর। বাড়ছিল দুষ্কৃতীদের আনাগোনা। এরই প্রতিবাদ করায় এক প্রাক্তন সেনাকর্মীর বৃদ্ধ বাবা-সহ পরিবারের মহিলাদের উপরে আক্রমণের অভিযোগ উঠল এলাকার কয়েক জন যুবকের বিরুদ্ধে। মারের চোটে বৃদ্ধের নাক ও চোখে আঘাত লেগেছে।
শুক্রবার বেশি রাতে ওই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার জেলিয়াপাড়া লেনের একটি বাড়িতে। পুলিশ ওই ঘটনায় রাজু সিংহ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, জেলিয়াপাড়া লেনের বাসিন্দা প্রাক্তন সেনাকর্মী বিশাল প্রসাদ নামে এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে প্রায় জোর করে একটি গুমটি বসায় এলাকার এক যুবক। অভিযোগ, সম্প্রতি ওই গুমটিতে এলাকার কিছু দুষ্কৃতী নেশার আসর বসানো শুরু করে। সেখানে রাত বাড়লেই গালিগালাজ-সহ নানা দুষ্কর্ম শুরু হওয়ায় বিশালবাবুর বৃদ্ধ বাবা দীনেশ প্রসাদ প্রতিবাদ করেন। কিন্তু তাতে কান না দিয়ে গুমটিতে নেশার আসর বসানো হতে থাকে।
নেশার ঠেক কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না দেখে শুক্রবার রাতে বৃদ্ধ দীনেশবাবু একাই প্রতিবাদ করতে এগিয়ে এলে গুমটি থেকে কয়েক জন যুবক তাঁকে আক্রমণ করে। ঘুষি মেরে তাঁর নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয়। বাঁ চোখে গুরুতর আঘাত লাগে। আহত দীনেশবাবুকে প্রথমে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ও পরে আলিপুরের কম্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দীনেশবাবুর স্ত্রী মীনাদেবী বলেন ‘‘প্রতিদিন আমাদের বাড়ির সামনে ওই গুমটিতে বসে নেশা করে লোকজন। মোটরবাইক রেখে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিছু বলতে গেলে অশ্লীল গালিগালাজ করে। শুক্রবার রাতে তাণ্ডবের মাত্রা বেশি হওয়ায় আমার স্বামী প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়।’’
পুলিশ জানায়, বাড়ির বড় ছেলে প্রাক্তন সেনাকর্মী অসুস্থ। তাঁর পায়ে আঘাত রয়েছে। তিনি স্বেচ্ছাবসর নিয়ে বাড়িতেই থাকেন। পরিবারের অন্য সদস্যদের বক্তব্য, প্রকাশ্যে এ ভাবে দুষ্কৃতী হামলা হওয়ায় তাঁরা আতঙ্কিত।
হাওড়ার এক পদস্থ পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ওই ঘটনার অভিযোগ পেয়েই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।