নার্সের ‘হেনস্থা’, ঘেরাও সুপারকে

হাসপাতালে বহিরাগতদের উপদ্রবের অভিযোগ আগেও ছিল। একাধিক বার এই অভিযোগও উঠেছিল, হাসপাতাল চত্বরে নেশা করা থেকে শুরু করে নানা অসামজিক কাজকর্ম চলে। এ বার হাসপাতাল চত্বরে এক নার্সের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল একদল বহিরাগতের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৭ ০১:১৮
Share:

হাসপাতালে বহিরাগতদের উপদ্রবের অভিযোগ আগেও ছিল। একাধিক বার এই অভিযোগও উঠেছিল, হাসপাতাল চত্বরে নেশা করা থেকে শুরু করে নানা অসামজিক কাজকর্ম চলে। এ বার হাসপাতাল চত্বরে এক নার্সের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল একদল বহিরাগতের বিরুদ্ধে।

Advertisement

শুক্রবার, হাওড়ার বালিটিকুরি ইএসআই হাসপাতালে। প্রায় ৪৯ একর জায়গা জুড়ে থাকা, ২৩০ শয্যার ওই হাসপাতাল দিনভর উত্তাল হল এই ঘটনা ঘিরে। নিরাপত্তার দাবিতে কর্মী ও নার্সেরা শুধু বিক্ষোভই দেখালেন না, সুপারকে ঘেরাও করে রাখলেন চার ঘণ্টা।

পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন হাসপাতাল চত্বরেই এক জন নার্সকে একদল দুষ্কৃতী ঘিরে ধরে অশ্লীল মন্তব্য করে। অভিযোগ, তরুণী নার্স প্রতিবাদ করলে দুষ্কৃতীরা তাঁর হাত ধরে টানাটানি শুরু করে। আতঙ্কিত ওই নার্স চিৎকার করে উঠলে দুষ্কৃতীরা পালায়। ঘটনার খবর ছড়াতেই বাকি নার্সেরা সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান এবং তাঁর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সুপার খবর দেন পুলিশে। বিশাল পুলিশবাহিনী এসে নার্সদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিলে তাঁরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেন।

Advertisement

সুপার প্রেম হাঁসদা বলেন, ‘‘এর আগে হাসপাতাল চত্বরে বহিরাগত উপদ্রবের জন্য প্রশাসন থেকে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছিল। চার বছর আগে তা উঠে যায়।’’

বিক্ষোভরত নার্সেরা অভিযোগে জানান, ২০১১-র পর থেকে হাসপাতালের সীমানা বলতে কিছু নেই। ধীরে ধীরে পাঁচিল ভেঙে দুষ্কৃতীরা সব ইট বিক্রি করে দিয়েছে। এই হাসপাতাল চত্বর দুষ্কৃতীদের আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হাওড়ার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সুমিত কুমার বলেন, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। যে দুষ্কৃতীরা ওই হাসপাতালে উপদ্রব করছে, তাদের ছাড়া হবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement