—ফাইল চিত্র।
মেট্রো পরিষেবার সময় এবং ট্রেনের সংখ্যা, দুই-ই বাড়ছে আজ, সোমবার থেকে। সকাল এবং সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়টুকু বাদে বাকি সময়ের যাত্রীদের জন্য ই-পাসে ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থাও চালু হচ্ছে। তবে, এখনই টোকেন চালু হচ্ছে না। আপাতত স্মার্ট কার্ড দিয়েই যাতায়াত করতে হবে।
মেট্রো সূত্রের খবর, আজ থেকে সকাল ৮টার বদলে দুই প্রান্তিক স্টেশন থেকে দিনের প্রথম ট্রেন ছাড়বে ৭টায়। দিনের অন্তিম ট্রেন দুই প্রান্তিক স্টেশন থেকে রাত ৯টার পরিবর্তে সাড়ে ৯টায় ছাড়বে। ট্রেন আগের তুলনায় ১৪টি বাড়ছে। আগের ১৯০ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ট্রেনের সংখ্যা হচ্ছে ২০৪।
মেট্রোর আধিকারিকদের একাংশের মতে, করোনা সংক্রমণ ক্রমশ নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করায় ধাপে ধাপে পরিষেবা স্বাভাবিক করা হচ্ছে। সেই কারণেই ই-পাসে ছাড়ের সময় বাড়ানো হচ্ছে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাস দেড়েকের মধ্যে পরিষেবা অনেকটাই পুরনো অবস্থায় ফিরে আসবে।
মেট্রোয় এত দিন প্রবীণ, মহিলা এবং ১৫ বছরের কমবয়সিদের ক্ষেত্রে সারা দিনই ই-পাসে ছাড় চালু ছিল। কিন্তু ১৫ থেকে ৫৯ বছরের পুরুষ যাত্রীদের ক্ষেত্রে ই-পাস বাধ্যতামূলক ছিল। এ বার সেই নিয়ম বেশ খানিকটা শিথিল করা হচ্ছে। তাই সকালের দিকে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা এবং রাতের দিকে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কাউকেউ ই-পাস নিতে হবে না।
গত আড়াই মাসে দেখা গিয়েছে, সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেট্রোয় ই-পাসের চাহিদা তুঙ্গে থাকছে। খুব সকালে এবং রাতের দিকে ৮টার পরে মেট্রোয় যাত্রীর সংখ্যা অনেকটাই কম থাকছে। এমনকি, গত ১১ নভেম্বর থেকে শহরতলির লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার পরেও মেট্রোয় প্রত্যাশিত সংখ্যায় যাত্রীদের ভিড় আছড়ে পড়েনি। সে কথা মাথায় রেখেই আরও কিছু যাত্রীকে পরিষেবা নেওয়ার সুযোগ দিতে ই-পাসে ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। শীতে মেট্রো সফরের চাহিদা আগের তুলনায় বাড়বে বলেই মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। আপাতত দিনের ব্যস্ত সময়ে সাত মিনিট অন্তর ট্রেন চলবে।
মেট্রোকর্তারা জানিয়েছেন, সারা দিনের ২০৪টি ট্রেনের মধ্যে ১০২টি আপ এবং ১০২টি ডাউন লাইনে চলাচল করবে। রাতের শেষ ট্রেন কবি সুভাষ এবং দমদম থেকে সাড়ে ৯টায় ছাড়বে। তবে, উত্তরে রাতের শেষ ট্রেন নোয়াপাড়া থেকে রওনা হওয়ায় ওই স্টেশন থেকে তা ছাড়বে রাত ৯টা ২৫ মিনিটে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শীতের মরসুমে যাত্রীদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই পরিষেবা এতটা বাড়ানো হচ্ছে।’’