ফিরহাদ হাকিম।
কলকাতা পুরসভার পাইপ লাইনে সরবরাহ করা জলে ‘দূষিত’ কিছু ছিল না। ৩ জনের মৃত্যুকে এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে, এটা ঠিক নয়। বিতর্কের মাঝে পরীক্ষার রিপোর্ট উল্লেখ করে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
৭৩, ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং সংলগ্ন এলাকার পাইপ লাইনের পানীয় জলের নমুনা কলকাতার পুরসভার ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা হয়। তাতে খারাপ কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। জল সরবরাহ দফতরের ডিজি মৈনাক মুখোপাধ্যায় বলেন, “জলের নমুনায় দূষিত কিছু পাওয়া যায়নি। পরীক্ষার রিপোর্ট ভাল। যদিও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ওই এলাকার সমস্ত পাইপ লাইন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কোথাও ছিদ্র হওয়ার কারণে দূষিত কিছু মিশে গিয়েছে কিনা, তা এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
৭৩, ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক কলোনিতে পুরসভার এক কর্মীর মৃত্যু হয়। ওই ওয়ার্ডেই মারা যায় এক শিশুও। আলিপুর মহিলা সংশোধোনাগারে মৃত্যু হয় এক আবাসিকের। তা ছাড়াও ৭০ জনের উপরে মানুষ অসুস্থ হন। এর পরই স্থানীয়রা দাবি করেন, পাইপ লাইনে দূষিত কিছু মিশে যাওয়ার কারণে ঘটনাগুলি ঘটেছে।
এর পরেই তৎপরতার সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন পুরসভার আধিকারিকেরা। এ দিন ফিরহাদ বলেন, “কলকাতা পুরসভার নামে বদনাম করা হচ্ছে। কোনও মৃত্যুই কাম্য নয়। চৌবাচ্চা থেকে জল তুলে খায় অনেকেই। এক জনের কিডনিতে সমস্যা ছিল। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন শুনেছি।”
এর পরেই ডিজির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "আমি ইঞ্জিনিয়ার নই, আপনি বলুন।" ডিজি বলেন, “খবর পাওয়া মাত্র আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই। তৎপরতার সঙ্গে পাইপ লাইন পরীক্ষা করা হয়। জল সংগ্রহ করা হয়। টেস্ট রিপোর্টে কিন্তু কিছু পাওয়া যায়নি। জলের গাড়িও পাঠিয়ে রেখেছি ওই এলাকায়।” যদিও ওই এলাকার একাংশের মানুষ পুরসভার এই তত্ত্ব মানতে নারাজ। তাঁরা পানীয় জলকেই দায়ী করছেন।