শুধু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নন, রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে বিজেপির কোনও প্রতিনিধিই রাজ্যপালে গেলেন না। —ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
শুধু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নন, রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে বিজেপির কোনও প্রতিনিধিই রাজভবনে গেলেন না। অনুপস্থিত থাকলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়কে বৃহস্পতিবার রাজভবনের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে। তবে তিনি সেই পরিচয়ে নয়, ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল হিসাবেই এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজভবনে রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে শাসক-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের দেখা গেলেও বিজেপির কাউকে দেখা যায়নি। সূত্রের খবর, বিরোধী দলনেতা হিসাবে শুভেন্দুকে যেমন আমন্ত্রণ করা হয়েছিল, তেমনি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্তকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল।কিন্তু তাঁরা কেউই গেলেন না।
বালুরঘাটে নিজের বাড়িতেই আছেন সুকান্ত। প্রতি বছর ঘটা করে সরস্বতী পুজো করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এ বারের সরস্বতী পুজোয় তাঁর কনিষ্ঠ কন্যার হাতেখড়ি ছিল। তাই তিনি যে রাজভবনে যেতে পারবেন না তা আগাই জানিয়ে দিয়েছিলেন আনন্দকে। উল্টে সুকান্তের কন্যার হাতেখড়িতে উপহার পাঠান আনন্দ।
বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েও না আসার পিছনে অবশ্য সরাসরি রাজনৈতিক কারণ দেখিয়েছেন শুভেন্দু। বিকেলেই টুইট করে জানিয়ে দেন, এই অনুষ্ঠানে থাকবেন না। কেন থাকবেন না, তা নিয়ে একপ্রস্ত কারণও জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যপালের ‘ভালমানুষি’কে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্য সরকার। নবান্নের ‘দূত’ হিসাবে ‘কাজ’ করছেন রাজ্যপাল প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নন্দিনী চক্রবর্তী। এ ছাড়াও টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার কথা উঠে আসছে, তখন রাজ্যপালের ‘হাতেখড়ি’র অনুষ্ঠান দেখিয়ে ওই সব ইস্যু চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
বর্তমান রাজ্যপালের শপথের দিনের মতোই ঘটল হাতেখড়ি অনুষ্ঠান। সে দিন আমন্ত্রণ পেলেও তাঁর বসার আসন কেন দ্বিতীয় সারিতে রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। জানিয়ে দেন, অনুষ্ঠানে যাবেন না। তবে সুকান্ত মজুমদার রাজভবনে যাবেন বলে রওনা দেন। কিন্তু রাজভবনে ঢোকার আগের মুহূর্তে তিনি ফিরে আসার পরিকল্পনা নেন। যুক্তি ছিল, তৃণমূলের অনেক সাংসদ আমন্ত্রিত এবং সামনের সারিতে বসার জায়গা পেয়েছেন কিন্তু তিনি ছাড়া বিজেপির কোনও সাংসদকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এর প্রতিবাদে তিনিও শপথে উপস্থিত থাকেননি।