Jadeep Dhankhar

Nabanna: এ বার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভিজিটর’ পদ থেকেও রাজ্যপালকে সরানোর ভাবনা নবান্নের

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। এবার আরও এক পদক্ষেপ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২২ ১২:৪৬
Share:

রাজ্যপাল আর ফাইল চিত্র।

রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর জন্য ইতিমধ্যে অনুমোদন মিলেছে রাজ্য মন্ত্রিসভার। তাঁর জায়গায় আচার্যপদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসাতে আনা হচ্ছে বিল। এ বার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভিজিটর’ পদ থেকেও সরানো হতে পারে রাজ্যপালকে। ওই জায়গা নিতে পারেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে এমন সম্ভাবনার কথাই উঠে আসছে।জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে এ নিয়ে এক প্রস্ত আলোচনা হয়েছে মন্ত্রিসভায়। সূত্রের খবর, তার পরেই বিষয়টিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে নবান্ন।সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা সরকার, তার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামহল থেকে নানা প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে। এ বার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভিজিটর’ পদ থেকেও রাজ্যপালকে সরিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে আনার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন অনেকে। বিশিষ্টদের একাংশ বলছেন, আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী, ভিজিটর পদে শিক্ষামন্ত্রীকে বসানো হলে শিক্ষাঙ্গনে প্রবল ভাবে রাজনীতি ঢুকে পড়বে। বিরোধী রাজ্যনৈতিক দলগুলি বলছে, শিক্ষাঙ্গনের সমস্ত বিষয়ে ‘খবরদারি’ করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তৃণমূল সরকার। আখেরে এতে শিক্ষার পরিবেশের ক্ষতি হবে। তেমনি বিপক্ষও মত-ও উঠে আসছে। অনেকে সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।

Advertisement

জগদীপ ধনখড় বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসার পর বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সঙ্ঘাতে জড়িয়েছেন। সেখান থেকে বাদ যায়নি শিক্ষার বিষয়ও। রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপালের সঙ্ঘাত দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে, সরকারের প্রস্তাব করা উপাচার্যের নাম বাতিল করতে গিয়েছেন রাজ্যপাল ধনখড়। আবার রাজ্যও রাজ্যপালের অনুমতির তোয়াক্কা না করে উপাচার্য নিয়োগ করেছে।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মন্ত্রিসভা ২৬ মে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়। জানানো হয়, রাজ্য সরকার রাজ্য পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করার জন্য বিধানসভায় নতুন বিল আনা হচ্ছে। অর্থাৎ, আইন সংশোধন করতে চাইছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

আরও পড়ুন:

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement