উত্তর-পূর্ব ভারতের বিনিয়োগ সম্মেলন কলকাতায়। — নিজস্ব চিত্র।
উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য আর পিছিয়ে থাকা এলাকা নয়। বিনিয়োগের জন্যও ভাল। কলকাতায় এসে এমনটাই দাবি করলেন কেন্দ্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বিএল ভার্মা। সোমবার কলকাতায় উত্তর-পূর্বের বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ রোডশো অনুষ্ঠানে এমন দাবি করেন ভার্মা। তাঁর দাবি, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে গত ন’বছরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এর ফলে বিনিয়োগের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। তিনি একাই নন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব চঞ্চল কুমারও দাবি করেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য প্রচুর সুযোগ তৈরি হয়েছে এক সময়ে পিছিয়ে থাকা ওই রাজ্যগুলিতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওই এলাকার নাম ‘অষ্টলক্ষ্মী’ দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন মন্ত্রী ভার্মা।
উত্তর-পূর্ব বিনিয়োগকারী সম্মেলনের অংশ হিসাবে, আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মেঘালয়, সিকিম এবং নাগাল্যান্ডের সরকারি প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সকলেই উল্লেখ করেন যে, সংযোগের ক্ষেত্রে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে গত কয়েক বছরে। সড়ক, রেলপথ, বিমানপথের পাশাপাশি উন্নয়ন হয়েছে ডিজিটাল সংযোগের ক্ষেত্রেও। বলা হয়, এখন ১৭টি কার্যকরী বিমানবন্দর এবং ২০টি জলপথ ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। ভার্মা এটাও দাবি করেন যে, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খেলাধুলা এবং পর্যটনের ক্ষেত্রেও এগিয়ে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। এর ফলেই বিনিয়োগের আবহ তৈরি হয়েছে। যাঁরা বিনিয়োগে আগ্রহী, তাঁদের উত্তর-পূর্ব সফরের আমন্ত্রণও জানান ভার্মা।
প্রসঙ্গত, এর আগে মুম্বই এবং হায়দরাবাদে এমন সম্মেলন হয়েছিল। এ বার কলকাতায়। সেই সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে, ভারতের অর্থনীতি পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘‘উত্তর-পূর্বের সীমান্ত গ্রামগুলিকে এখন আর দেশের শেষ গ্রাম হিসাবে বিবেচনা করা হয় না। বরং, দেশের প্রথম গ্রামের মর্যাদা দেওয়া হয়।’’ উত্তর-পূর্ব ভারতে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেও বৃহত্তর সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের শিক্ষাগত চাহিদা মেটাতেও সক্ষম। একই সঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘‘উত্তর-পূর্বে পর্যটনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেসরকারি সংস্থাও উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ করছে।’’ বিনিয়োগকারীদের এই অঞ্চলে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কথাও জানান মন্ত্রী।