—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভাঁড়ারের অবস্থা বিশেষ ভাল নয়। এ হেন পরিস্থিতিতে আয় বাড়ানোর উপরে জোর দিতে চাইছে উত্তরদমদম পুরসভা। তার প্রাথমিক ধাপ হিসাবে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত বাড়ি, বিশেষত বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যেগুলি ভাড়া দেওয়া হয়, সেখান থেকে রাজস্ব বৃদ্ধিরপরিকল্পনা করেছে প্রশাসন। পুরসভা সূত্রের খবর, এর জন্য প্রথমেসংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তারভিত্তিতে ঠিক হবে বর্ধিত রাজস্বের অঙ্ক। তবে, আপাতত বসবাসের জন্য ভাড়া দেওয়া বাড়িগুলি এর আওতায় আসবে না।
প্রসঙ্গত, উত্তর দমদম পুরসভার আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা আগেই সামনে এসেছিল। অস্থায়ী পুরকর্মীদের বেতন দু’বারে দিতে হচ্ছে বলে সরব হয়েছিলেন অনেকে। যদিও পুরকর্তাদের একাংশের দাবি ছিল, আর্থিক সঙ্কট থাকলেও তার প্রভাব পুর পরিষেবায় পড়েনি। এই পরিপ্রেক্ষিতেই বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সম্পত্তিকর, বিজ্ঞাপন-সহ একাধিক খাত রয়েছে পুরসভার আয়ের। সে সব দিকে জোর দিলে আয় বাড়া উচিত। তেমন পরিস্থিতি হলে ব্যয়সঙ্কোচের কথা ভাবা দরকার।
পুরসভা সূত্রের খবর, আয়ের বিভিন্ন খাত পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া বাড়িগুলিতে পুরসভা জঞ্জাল অপসারণ-সহ একাধিক পরিষেবা দিয়ে থাকে। অথচ, সে সব জায়গা থেকে ‘কমার্শিয়াল ইউজ়ার্স ফি’ আশানুরূপ আদায় হয় না। পুর প্রশাসনের একাংশ জানাচ্ছেন, আগেও দেখা গিয়েছে, কোনও বাড়ি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হলেও সেই তথ্য পৌঁছয়নি পুরসভার কাছে। ফলে, সম্পত্তিকরের ক্ষেত্রে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। রাজস্ব আদায়ও হয়েছে কম। প্রশাসনের একাংশের ধারণা, এমন সব সম্পত্তির পুনর্মূল্যায়ন করা হলে আয় বেশ কিছুটা বাড়বে।
পাশাপাশি পুরসভা জানাচ্ছে, অনেক বাড়ির একাংশ ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের দোকান চলছে। সেই বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। সব দিক বিবেচনা করেই আয় বৃদ্ধির পথে এগোনো হবে।
উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, প্রাথমিক পর্বে অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে বড় বড় দোকানগুলির ক্ষেত্রে রাজস্বের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। আগামী দিনে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত অন্য বাড়িগুলির ক্ষেত্রেও একই পরিকল্পনা রয়েছে।