ধর্ষণ হয়নি, কোর্টে ‘স্বীকার’ করলেন তরুণী

পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বারাসত আদালতে ওই মহিলাই জানিয়েছেন, তাঁকে কেউ ধর্ষণ করেনি

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:০২
Share:

প্রতীকী ছবি।

দিন কয়েক আগে বারাসতে এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বারাসত আদালতে ওই মহিলাই জানিয়েছেন, তাঁকে কেউ ধর্ষণ করেনি। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার বলেন, ‘‘আদালতে জবানবন্দিতে নিগৃহীতা মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর এক বোনই তাঁকে মারধর করে গণধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। সেই মতো তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

Advertisement

গত ২৩ অক্টোবর সকালে জখম অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করেছিল পুলিশ। ওই ঘটনায় বারাসত থানায় অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর দুই বোন। এক বোনের অভিযোগ ছিল, দিদিকে মারধর করে গণধর্ষণ করা হয়েছে। সেই অভিযোগকারিণীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে অন্য বোনের দাবি ছিল, দিদিকে মারধরের ঘটনায় ওই বোনেরই হাত রয়েছে।

বস্তুত, গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরেই ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার চার দিনের মাথায় দায়ের হয় অভিযোগ। কেন পুলিশ স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে ধর্ষণের মামলা রুজু করেনি, তা জানতে চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশের যুক্তি ছিল, এক মহিলা জখম হয়ে পড়ে আছেন খবর পেয়ে তারা গিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই মহিলার মানসিক সমস্যাও রয়েছে। কিন্তু তিনি ধর্ষণের অভিযোগ করেননি।

Advertisement

নিগৃহীতার বোন গণধর্ষণের অভিযোগ আনার পরে ওই মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল তখন বলেছিলেন, ‘‘পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি।’’ সুপার আরও জানিয়েছিলেন, ওই মহিলা পড়ে গিয়ে চোট পেয়ে থাকতে পারেন।

ওই মহিলারা চার বোন। এক বোনের আরও অভিযোগ ছিল, গণধর্ষণের ঘটনা চেপে যাওয়ার জন্য শাসক দলের এক কাউন্সিলর তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন। পুলিশ জানিয়েছে, জবানবন্দিতে নিগৃহীতা মহিলা আরও জানিয়েছেন, অভিযোগকারী ওই বোনই তাঁকে মারধর করেছেন। সুস্থ হওয়ার পরে তাঁর জবানবন্দির ভিত্তিতেই এ বার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement