নিজস্ব চিত্র
তালতলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তির নীচে ফলকে টিকা কেলেঙ্কারিতে ধৃত দেবাঞ্জন দেবের পাশাপাশি নাম ছিল একাধিক পুর সদস্য, বিধায়ক, সাংসদের। তা নিয়ে অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে সেই অভিযোগের জবাব দিলেন পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য ও প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। পাশাপাশি অনুমতি না নিয়ে ফলকে তাঁর নাম দেওয়ার জন্য পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন চৌরঙ্গির বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
অতীন সাংবাদিক বৈঠকে বললেন, ‘‘যে মূর্তিটি তালতলায় বসানো হয়েছিল, সেটি কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে হয়নি। পুরসভার কোনও অনুষ্ঠান ওখানে ছিল না। যাঁদের নাম ফলকে লেখা ছিল, তাঁরা কেউই সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। মূর্তিটিও পুরসভার অনুমতি নিয়ে বসানো হয়নি। সেই কারণে স্থানীয় পুরমাতা ইন্দ্রাণী সাহা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন। সেই আপত্তিকে মান্যতা দিয়েই তৎকালীন মেয়র ও বর্তমানে পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম সেই অনুষ্ঠানে যাননি।’’
অতীনের দাবি, কলকাতার বিভিন্ন অংশে অনেক সংগঠন, ক্লাব বা কোথাও কোথাও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন মূর্তি বসানো হয়ে থাকে। সেখানে সবটাই পুরসভার অনুমতি নিয়ে করা হয়, এমনটা নয়। এক্ষেত্রেও ঘটনা তেমনই। শুধু ফিরহাদ হাকিম নন, ফলকে দেবাশিষ কুমার, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর নামও ছিল। সেই বিষয়েও অতীন স্পষ্ট করে দেন, ‘‘দলের কেউই ওখানে উপস্থিত ছিলেন না। তা ছাড়া স্পেশাল কমিশনারের মাধ্যমে পুরসভার যাবতীয় অনুষ্ঠান করা হয়। এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। দলের কেউ ওই অনুষ্ঠানে যাননি। ফলে এটি একটি ভুল প্রচার। আমরা ওই প্রতারকের সঙ্গে মূর্তি উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে ছিলাম, এ কথা ঠিক নয়।’’ এ ছাড়া, কসবার টিকাকরণ কেন্দ্রে যাঁরা টিকা নিয়েছেন, তাঁদের ‘অশিক্ষিত’ বলেছেন বলে কোথাও কোথাও অভিযোগ ওঠে অতীনের বিরুদ্ধে। বৈঠক থেকে তিনি জানান, এ কথা তিনি বলেননি। বলেছেন, যাঁরা টিকা নেওয়ার পরেও সঠিক মেসেজ পেলেন না, তখন তাঁরা কেন যাচাই করলেন না। এই দায় কিছুটা টিকাপ্রাপ্তদেরও।