প্রতীকী ছবি।
স্থানীয় সমস্যার জেরে গুজব ছড়ানো রুখতে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। আর তার জেরে নতুন বছরের শুরু থেকেই সমস্যায় পড়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা ও শহরতলির বেশ কিছু এলাকার মানুষ।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর রাতে দত্তপুকুর থানার বামনগাছি এলাকায় গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে গোলমালের জেরে ১ জানুয়ারি থেকে প্রশাসনের তরফে বন্ধ করে রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। যার জেরে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিসের মতো সরকারি ও নানা বেসরকারি পরিষেবা পেতে সমস্যায় পড়ছেন বারাসত-মধ্যমগ্রাম-দত্তপুকুর-হাবড়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। এর আগে নতুন নাগরিক পঞ্জী নিয়ে গোলমালের জেরে বেশ কিছু দিন উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্ধ ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা।
শনিবার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নেট বন্ধ থাকায় কিছু সমস্যা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু গুজব ছড়ানো এবং গোলমাল এড়াতেই ওই ব্যবস্থা। এ দিন জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। বিশেষ কারণে এখনই নেট চালু করা যাচ্ছে না। সব দিক বিবেচনা করে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হবে।’’
স্থানীয় মানুষ জানান, জেলা সদর বারাসতে নেট না থাকায় সরকারি অফিসে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিসেরও ‘সার্ভার ডাউন’। থমকে গিয়েছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সাইবার কাফের কাজকর্ম। যে সব পড়ুয়া অনলাইনে লেখাপড়া করেন, লাগাতার নেট বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরাও।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, অনলাইনে নেট ব্যাঙ্কিং, টাকা আদানপ্রদান, কিছুই করা যাচ্ছে না। বারাসত-মধ্যমগ্রাম এলাকার রেস্তরাঁ, হোটেল ব্যবসায়ীদের কথায়, ‘‘অ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার নেওয়া যাচ্ছে না। যাতায়াতের ক্যাব বুক করা যাচ্ছে না। ভোটার, আধার কার্ড সংশোধনের কাজকর্মও শিকেয় উঠেছে। বিমানবন্দর এলাকায় ঢুকলে নেট পাওয়া যাচ্ছে। তা-ও খুব ধীর গতিতে। তাই বিমানবন্দরের দিকে গিয়ে মোবাইলে কাজকর্ম ও ই-মেল করতে হচ্ছে।’’