Chhath Puja

ছটপুজো নিয়ে পরিবেশ আদালতের রায়ই বহাল

বিচারপতি নরিম্যান কাজে যোগ দিলে আগামী সোমবার তাঁর বেঞ্চেই শুনানি হবে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২০ ০৩:২৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

চলতি বছরে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করার অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। সোমবারই সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ দিন সর্বোচ্চ আদালতে সেই শুনানি হল না। শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ২৩ নভেম্বর, সোমবার। যা কি না ছটপুজোর পরে। কারণ, চলতি সপ্তাহের শেষে ২০-২১ নভেম্বর এ বছরের ছটপুজো। ফলে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করা যাবে না বলে জাতীয় পরিবেশ আদালত যে রায় দিয়েছিল, আপাতত সেটাই বহাল থাকছে।

Advertisement

কেন এ দিন শুনানি হল না? ছটপুজোর অনুমতি চেয়ে কেএমডিএ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরে গত ২ নভেম্বর বিচারপতি রোহিংটন ফলি নরিম্যানের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত সব পক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস জারি করে। কিন্তু চলতি সপ্তাহে বিচারপতি নরিম্যান কোনও মামলাই শুনতে পারছেন না। তাই এ দিন বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য উঠেছিল। কিন্তু বিচারপতি ললিত জানিয়ে দেন, তিনি এই মামলা শুনবেন না।

আরও পড়ুন: রবীন্দ্র সরোবরে আমপানই খুলেছে ছটপুজোর পথ

Advertisement

বিচারপতি নরিম্যান কাজে যোগ দিলে আগামী সোমবার তাঁর বেঞ্চেই শুনানি হবে।

মামলার অন্যতম আইনজীবী কুণাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আইনজীবীরা বিচারপতিকে শুনানির অনুরোধ করে জানিয়েছিলেন, সোমবারের আগেই ছটপুজো হয়ে যাবে। কিন্তু বিচারপতি ললিত জানিয়ে দেন, শুনানি হবে বিচারপতি নরিম্যানের বেঞ্চেই। তিনি কোনও পক্ষেই রায় দিচ্ছেন না বলেও স্পষ্ট করে দেন।’’

এ দিনের ঘটনা পরম্পরার পরিপ্রেক্ষিতে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় পরিবেশ আদালত এবং কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকবে।’’ তবে কেএমডিএ সূত্রের খবর, ছটপুজোর আগেই মামলাটির শুনানির জন্য আবার চেষ্টা করা হবে। আজ, মঙ্গলবার সেই সংক্রান্ত আবেদন করা হতে পারে। কিন্তু তা আদৌ কতটা সফল হবে, সে ব্যাপারে সংশয়ী সংস্থার আধিকারিকদের একাংশই।

জাতীয় পরিবেশ আদালত গত বছর রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও তা অমান্য করে পুজো হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সেখানে পুজোর কারণ হিসেবে রাজ্য যুক্তি দিয়েছিল, কারও ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করা যাবে না। এর পরে চলতি বছরে কেএমডিএ সরোবরে ছটপুজোর অনুমতি চেয়ে ফের পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু গত ১৭ সেপ্টেম্বর আবেদন খারিজ করে পরিবেশ আদালত জানিয়ে দেয়, সরোবরে ছটপুজো করা যাবে না।

চলতি কোভিড পরিস্থিতিতে যতটা সম্ভব বাড়িতে থেকেই ধর্মাচরণের আবেদন জানাচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনের অন্দরের বক্তব্য, অতীতে বিভিন্ন ধর্মের উৎসব বড় সংখ্যক মানুষ বাড়িতে থেকেই পালন করেছেন। তাই সরকারের আবেদন, বাড়িতে জলাধার থাকলে ছটপুজোর সঙ্গে যুক্ত মানুষজনও এ বছর একই ভাবে ধর্মাচরণ করুন। বাড়িতে তেমন সুবিধা না থাকলে কাছাকাছি পুকুর বা জলাশয়ে স্বল্প সংখ্যায় গিয়ে পুজো-পাঠ করা যাবে।

আধিকারিক মহলের দাবি, কয়েক বছরে কলকাতা পুরসভা ও কেএমডিএ এলাকায় কয়েকশো পুকুর সংস্কার করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং থানাগুলিকে সেই পুকুরগুলির দায়িত্বও দিয়েছে রাজ্য। কোভিডের সুরক্ষা-বিধি মেনে এই পুকুরগুলি ব্যবহার করার সুবিধা ব্রতীদের (ছটপুজোর সঙ্গে যুক্ত) দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর এবং পুলিশ-আধিকারিকদের। তবে সব ক্ষেত্রেই দূরত্ব-বিধি এবং সুরক্ষা-বিধি মেনে চলতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement