প্রতীকী ছবি
পচনশীল পদার্থ থেকে প্রশাসন জৈব সার তৈরি করলেও নিতে রাজি ছিলেন না কৃষকেরা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ওই জৈব সার সম্পর্কে তাঁরা অবগত নন। সেই কারণে আইআইটি খড়গপুরের সঙ্গে যৌথ ভাবে সারের গুণমান খতিয়ে দেখার কাজ করবে নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা এনকেডিএ। পাথরঘাটার ১২টি জায়গায় সেই পরীক্ষামূলক কাজ করবেন আইআইটি-র গবেষকেরা।
এনকেডিএ সূত্রের খবর, বাড়ি, রাস্তা এবং ফাঁকা জমি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে তাকে কঠিন ও পচনশীল বর্জ্যে ভাগ করা হচ্ছে। পচনশীল বর্জ্য থেকে যন্ত্রের সাহায্যে জৈব সার তৈরির কাজ হচ্ছে গত এক বছর ধরে।
নিউ টাউনের আশপাশের কৃষকদের কাছে যখন সেই সার নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সংস্থার প্রতিনিধিরা, তখন তাঁরা তা কিনতে পিছিয়ে যান। কৃষকদের কথায়, ওই সার আদৌ কাজে লাগবে কি না, তা তাঁদের অজানা। তাই নতুন সার নিতে নারাজ ছিলেন তাঁরা। সমবায়গুলি আবার এনকেডিএ-র প্রতিনিধিদের জানান, আগে সার পরীক্ষা করে দেখা হবে তার কার্যকারিতা, তার পরে সার নেওয়ার কথা ভাববেন তাঁরা।
জৈব সার সম্পর্কে মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনে এনকেডিএ-র কর্তারা যোগাযোগ করেন আইআইটি খড়গপুরের এগ্রিকালচার এবং ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরের সঙ্গে। সম্প্রতি সেখানকার প্রতিনিধিরা নিউ টাউনে এসেছিলেন। এনকেডিএ-র কর্তাদের সঙ্গে তাঁরা পাথরঘাটায় নির্ধারিত জমি পরিদর্শন করেন। সেখানে ১২টি পরীক্ষাগার তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ৮১ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছে। সেখানে সারের গুণমান পরীক্ষা করে দেখবেন আইআইটি-র গবেষকেরা।
এনকেডিএ-র এক কর্তা জানান, আইআইটি খড়গপুরের প্রতিনিধিরা যৌথ ভাবে কাজ করতে রাজি হয়েছেন। পরীক্ষায় জৈব সার উত্তীর্ণ হলেই কৃষক থেকে শুরু করে ফুলচাষিদের কাছে ওই ধরনের জৈব সার পৌঁছে দিতে সমস্যা থাকবে না বলেই তাঁদের আশা।