প্রতীকী ছবি।
নিরাপত্তার নজরদারির স্বার্থে ক্যামেরার ব্যবহার এখন নতুন কিছু নয়। কিন্তু রাস্তার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য নিয়মিত ক্যামেরার ব্যবহার অবশ্যই অভিনব সিদ্ধান্ত বলে দাবি করছে নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ)। পোশাকি ভাষায় একে বলা হচ্ছে ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স’।
এনকেডিএ সূত্রের খবর, জিপিএস প্রযুক্তি সম্বলিত ক্যামেরার ব্যবহারে নিউ টাউনের রাস্তা কী অবস্থায় রয়েছে, তা দেখা হবে। রাস্তার কোথাও গর্ত হয়ে থাকলে তা কতটা বিস্তৃত, গভীর কতটা এবং তা থেকে রাস্তার কতটা ক্ষতি হতে পারে তা-ও পর্যালোচনা করা যাবে একটি গাড়ির মাথায় লাগানো ওই ক্যামেরার সাহায্যে। ১৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত ছবি তুলতে সক্ষম ওই ক্যামেরার সাহায্যে রাস্তার ভিডিয়োও করা হবে। সেই ছবি খতিয়ে দেখার পরেই তথ্যপঞ্জি গড়ে কাজ শুরু হবে বলে জানাচ্ছেন এনকেডিএ কর্তৃপক্ষ।
সেই সঙ্গে কোন রাস্তার কোথায় খারাপ পরিস্থিতি, তা গুগল ম্যাপেও দিয়ে দেওয়া হবে। যাতে পথচারী থেকে গাড়িচালক ম্যাপ ব্যবহার করে তা জানতে পারেন। এর ফলে বিপদ সম্পর্কে আগাম সতর্ক করার কাজও হবে। রাস্তার ধারে রাখা ইমারতি দ্রব্যের স্তূপ অথবা রকমারি দখলদারির ছবিও অনায়াসে ক্যামেরায় ধরা পড়বে।
এনকেডিএ-র এই উদ্যোগ সম্পর্কে আশাবাদী স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের মতে, ভাঙাচোরা রাস্তা বা দখলদারির সমস্যা, যাই হোক না কেন তা প্রশাসনের কাছে পৌঁছতে অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। তার পরে মেরামতির সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে গিয়ে আরও দেরি হয়। এই পদ্ধতিতে কাজ দ্রুত হবে বলেই তাঁদের বিশ্বাস।
সংস্থা সূত্রের খবর, পরীক্ষামূলক ভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করার কাজ শুরু হয়েছে। তাতে যে তথ্য এসে পৌঁছেছে, সেই অনুযায়ী পরিকল্পনাকে আরও বিস্তৃত করার প্রয়োজন আছে বলেই মনে করছেন আধিকারিকেরা। আপাতত একটি গাড়ির মাথায় ক্যামেরা লাগিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে একাধিক গাড়িতে ক্যামেরা ব্যবহার করে একসঙ্গে বিভিন্ন রাস্তার ছবি সংগ্রহ করার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।