মশা নিয়ন্ত্রণ করতে নজর নিউ টাউনে

মশার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সে কাজের গুণমান জানতে নজরদারি ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে এনকেডিএ সূত্রের খবর। নজরদারির জন্য চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার একদফা বৈঠকও হয়েছে এনকেএডিএ-তে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একাধিক জায়গায় মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। ঘটেছে মৃত্যুও। পুজো শেষের টানা বৃষ্টি চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের। এই অবস্থায় মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে কাজ শুরু করেছে নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ)।

Advertisement

মশার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সে কাজের গুণমান জানতে নজরদারি ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে এনকেডিএ সূত্রের খবর। নজরদারির জন্য চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার একদফা বৈঠকও হয়েছে এনকেএডিএ-তে। সংস্থা সূত্রের খবর, নিউ টাউনকে ৪২টি জোনে ভাগ করে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের প্রাথমিক পরিকল্পনা হয়েছে। নিয়মিত ধোঁয়া, এবং মশার তেল ছড়ানো-সহ নিয়ন্ত্রণের কাজ করার জন্যে দু’টি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে একটি করে দলকে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে। মোট সাতটি দল কাজ করছে। প্রতি দলে পাঁচ থেকে ছ’জন কাজ করছেন।

গত বছরের অভিজ্ঞতা এবং বাসিন্দাদের মতামতের ভিত্তিতে এ বারের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। পরিকল্পনা কার্যকর করতে ব্লকের স্থানীয় প্রতিনিধিদেরও যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান এনকেডিএ-র এক কর্তা। মশা নিয়ন্ত্রণের কাজের তদারকিতে এক জন সুপারভাইজার থাকছেন। তিনি ব্লকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবেন। এনকেডিএ-র তরফে একটি অ্যাপ সুপারভাইজার এবং প্রতিনিধিদের দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন কাজের ছবি সেখানে দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

একটি আলাদা দল আবার এই সব কাজের তদারকি করতে পরিদর্শন করবেন। প্রতি মাসে পতঙ্গবিশারদও এলাকা ঘুরবেন। প্রায় এক লক্ষ গাপ্পি মাছ জলাশয়ে ছাড়া হচ্ছে। পাশাপাশি নর্দমার অবস্থা, টায়ার-টিউব, থার্মোকল বা ডাবের খোলা পড়ে থাকলে দ্রুত তা সরানো হচ্ছে কি না তা-ও দেখা হচ্ছে।

এই সব কর্মসূচির সঙ্গে ১০৬ জনকে নিয়ে দল তৈরি হয়েছে। যাঁরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের বার্তা দেবেন এবং সেই বাড়ি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে রিপোর্ট জমা করবেন। এনকেডিএ-র এক কর্তা জানান, গত বছরে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল বাসিন্দাদের তরফে। এ বারে নাগরিকেরাও সংস্থার কাজে এখনও পর্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে দাবি তাঁর। পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার জন্য জন্য একটি হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে, যাতে বাসিন্দারা এই কাজে তাঁদের অভাব-অভিযোগ জানাতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement