বিধায়ক-চিকিৎসক নির্মল মাজি।
দীর্ঘ দিন পরে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কমিটি। সেখানে বিধায়ক-চিকিৎসক নির্মল মাজি ও সাংসদ-চিকিৎসক শান্তনু সেনকে মনোনীত সদস্য করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু মেডিক্যাল কাউন্সিলের মনোনীত প্রতিনিধি হিসাবে আরও যে সমস্ত কাউন্সিলে নির্মল ছিলেন, এ বার সেখান থেকেও তাঁর নাম বাদ গেল।
সূত্রের খবর, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে রাজ্যের নার্সিং, ডেন্টাল ও ফার্মাসি কাউন্সিলে এক জন করে মনোনীত প্রতিনিধিকে পাঠানো হয়। যিনি পাঁচ বছর ধরে মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রতিনিধিত্ব করেন ওই সমস্ত কাউন্সিলে। জানা যাচ্ছে, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি থাকার পাশাপাশি নার্সিং ও ফার্মাসি কাউন্সিলেও প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন নির্মল। সম্প্রতি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল গঠনের পরে ওই দুই জায়গাতেই নতুন মুখ দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, নার্সিং কাউন্সিলে চিকিৎসক অভীক দে এবং ফার্মাসি কাউন্সিলে সৌরভ পালকে মনোনীত করে পাঠানো হবে। আরও জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে ডেন্টাল কাউন্সিলে প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন রাজীব গণচৌধুরী। তাঁর মৃত্যুর পরে নির্মলের নাম মনোনীত করে পাঠানো হলেও শেষ পর্যন্ত ডেন্টাল কাউন্সিলে তা কার্যকর হয়নি। এ বার সেখানে মনোনীত হয়েছেন বিধায়ক-চিকিৎসকখগেন মাহাতো।
বেশ কয়েক বছর ধরে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন আটকে ছিল। অবশেষে হাই কোর্টের নির্দেশে নির্বাচন হয়েছে। সেই সময়ে যে অস্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সেখানে নির্মলকে বাদ দিয়ে সুদীপ্ত রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর পরে সরকারপন্থী ১৪ জন চিকিৎসক নির্বাচনে জয় লাভ করেন। তাঁদের মধ্যে থেকে বিধায়ক-চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়কে সভাপতি এবং চিকিৎসক সুশান্ত রায়কে সহ-সভাপতি মনোনীত করেছে স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি, শান্তনু ও নির্মলকে মনোনীত সদস্য করে কাউন্সিলে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে, তাঁদের অন্য কোনও উপ-কমিটিতে আপাতত রাখা হয়নি। জানা যাচ্ছে, মেডিক্যাল জার্নাল কমিটিতে সম্পাদক করা হয়েছে দীপাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সহকারী সম্পাদক হয়েছেন রবি হেমব্রম ও দীপাঞ্জন হালদার। সুদীপ্ত বলেন, “উন্নয়নের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীও নতুন প্রজন্মকে সামনে এগিয়ে দিচ্ছেন। সেই মতো কাউন্সিলও কাজের অগ্রগতির জন্য নতুনদের প্রাধান্য দিচ্ছে।”