Nimta

৩ ঘণ্টার পার্টিতেই লুকিয়ে দেবাঞ্জন খুনের রহস্য, গুলি করার পরেও ঘটনাস্থলে ছিল খুনি!

শনিবার ফরেন্সিকের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নুমনা সংগ্রহ করে। পরীক্ষা করা হয় ওই গাড়িটিও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:৪৪
Share:

থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রিন্সকে। —নিজস্ব চিত্র।

ম্যানেজমেন্টের পড়ুয়া দেবাঞ্জন দাসকে লক্ষ্য করে দু’টি গুলি করা হয়েছিল। তার পরেও তিনি গাড়ি নিয়ে প্রায় ১০০ মিটার গিয়েছিলেন। গুলি শরীরে লাগার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন দেবাঞ্জন। গতি কম থাকায় এয়ার ব্যাগ খোলেনি। গাড়ির সামনের অংশ ছাড়াও রাস্তার পাশের একটি ল্যাম্পপোস্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙে যায় পাঁচিলের একাংশও। ওই সময় পর্যন্ত আততায়ী ঘটনাস্থলের আশপাশেই ছিল। পুলিশ এবং ফরেন্সিক বিভাগ সূত্রে এমন তথ্যই মিলেছে।

Advertisement

শনিবার ফরেন্সিকের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নুমনা সংগ্রহ করে। পরীক্ষা করা হয় ওই গাড়িটিও। তবে নবমীর মাঝ রাতে ওই ঘটনা ঘটার আগে সল্টলেকের একটি পানশালার পার্টিতে দেবাঞ্জনের বন্ধু এবং তাঁর পরিচিতদের ভূমিকায় খুনের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছে নিমতা থানার আধিকারিকরা। তাঁদের মতে, নবমীতে রাত সাড়ে ১০টা থেকে ওই পানশালায় পার্টি শুরু হয়। দেবাঞ্জনের পরিচিত ১৭ জন ছিলেন সেখানে। পার্টিতে ছিলেন তাঁর বান্ধবীও। সেখানে আগে থেকেই হাজির ছিল শনিবার নিমতা কাণ্ডে ধৃত বিশাল মারু। পার্টি শেষ হয় রাত ১টা নাগাদ। সেখান থেকে বেরোতে আরও ২০-২৫ মিনিট লেগে যায় দেবাঞ্জনের।

ওই দিন পার্টি চালাকালীন দেবাঞ্জন কি কারও সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন? নাকি তাঁর পরিবারের দাবি অনুযায়ী তৃষা সরকারের প্রাক্তন প্রেমিক প্রিন্স সিংহই কাউকে দিয়ে দেবাঞ্জনকে খুন করিয়েছে? এ সব বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য এক দিকে যেমন ওই পানশালার ভিডিয়ো ফুটেজ দেখা হচ্ছে, তেমনই ওই দিন যে বন্ধুরা সেখানে হাজির ছিলেন তাঁদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ। প্রিন্সের বন্ধু বিশাল মারু। ইতিমধ্যে পুলিশের জালে তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: দেবাঞ্জন খুনে প্রথম গ্রেফতার, তৃষার প্রাক্তন প্রেমিক প্রিন্স এখনও ফেরার

এই খুনের ঘটনায় বিশাল আরও তথ্য দিতে পারবেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার পর দু’দিন বাড়িতেই ছিলেন প্রিন্স। তার পর পরিবারকে কিছু না জানিয়ে আত্মগোপন করেছেন কোথাও। এক তদন্তকারীর প্রশ্ন, এই ঘটনার সঙ্গে যদি প্রিন্স জড়িত না থাকেন, তা হলে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন? দেবাঞ্জনের প্রেমিকার সঙ্গে আগে সম্পর্ক ছিল প্রিন্সের। এ নিয়ে প্রিন্স খুন করারও হুমকি দিয়েছিলেন দেবাঞ্জনকে। এমনটাই দাবি করেছেন দেবাঞ্জনের বাবা।

খুনের ঘটনায় প্রিন্সই দায়ী, নাকি অন্য কারও সঙ্গে যড়যন্ত্র করে তাঁকে খুন করা হয়েছে? বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কেনই বা তাঁকে খুন করা হল? কে বা কারা এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছে— তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছে।

আরও পড়ুন: এসএসকেএমে কুকুরের সেই ডায়ালিসিস কাণ্ডে নির্মল মাজিকে সতর্ক করল মেডিক্যাল কাউন্সিল

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement