—প্রতীকী চিত্র।
মাত্র চল্লিশ মিনিটে চার হাজার লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা যায়। কিন্তু এখন সেই যন্ত্রে চারটি নমুনাও পরীক্ষা হয় না। তাই কোটি টাকা দামের ‘কোবাস-৮০৮০’ যন্ত্রটি এ বার এইচআইভি চিহ্নিত করার কাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিল নাইসেড।
২০২০ সালের জুলাইয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য কলকাতা, মুম্বই ও দিল্লিকে কয়েক কোটি টাকা দামের ওই যন্ত্র দিয়েছিল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি সেগুলির উদ্বোধন করেন। ওই যন্ত্র লালারসের নমুনা পিসিআর (পলিমার চেন রিঅ্যাকশন) করে বলতে পারে, কত জন আক্রান্ত। করোনাকালে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল নাইসেডের এই যন্ত্র। কিন্তু, এখন কোভিড তলানিতে। ফলে কোবাসের ব্যবহারও কার্যত বন্ধ।
নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্ত জানান, দিনকয়েক আগে ন্যাকো বা ‘ন্যাশনাল এড্স কন্ট্রোল অর্গানাইজ়েশন’ থেকে কয়েক জন বিশেষজ্ঞের এক প্রতিনিধিদল নাইসেডে এসে ওই যন্ত্রটি পর্যবেক্ষণ করে। বিশেষজ্ঞেরা জানান, কোবাসের মাধ্যমে বিভিন্ন পরীক্ষা করা সম্ভব। শান্তা বলেন, ‘‘এর পরেই আমরা ওই যন্ত্রের মাধ্যমে এইচআইভি পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করি।’’ জানা যাচ্ছে, শুধু এই রাজ্য নয়, পূর্বাঞ্চলের সব রাজ্য থেকেই নমুনা নাইসেডে এনে পরীক্ষা করা হবে। কলকাতার ওই সংস্থার বিশেষজ্ঞদের মতে, কোবাসের সাফল্যের হার অন্য যন্ত্রের থেকে বেশি বলেই দেখা গিয়েছে।