ফাইল চিত্র
সরকারি সম্পত্তির সুরক্ষার দিকটি নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করে থাকে রাজ্য পূর্ত দফতর। দফতরের সড়ক বিভাগের অধীনে মোট ১৪টি ‘সার্কল’-এ ওই রক্ষী নিয়োগ করা হয়। তাঁদের কাজের মেয়াদ সম্প্রতি শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই কারণে যাতে সম্পত্তির সুরক্ষায় কোনও সমস্যা না হয়, তাই সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তারক্ষীদের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হল।
দফতরের আধিকারিকদের একাংশের অবশ্য বক্তব্য, চুক্তির মেয়াদ আগেই বাড়ানো হয়েছিল। সম্প্রতি তার ‘পোস্ট ফ্যাক্টো’ অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘বিভিন্ন সংস্থা মারফত যে কর্মীরা নিযুক্ত হয়েছিলেন, তাঁদের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। চলতি মাস পর্যন্ত তাঁদের চুক্তির নবীকরণ করা হয়েছে। তবে শুধু নিরাপত্তারক্ষীই নন, ওই কর্মীদের মধ্যে হাউসকিপিংয়ের কর্মীরাও রয়েছেন।’’
পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, ১৪টি ‘সার্কল’-এর জন্য মোট ৭১০ জন নিরাপত্তারক্ষী নিযুক্ত রয়েছেন। সাদার্ন হাইওয়ে সার্কল, ইস্টার্ন হাইওয়ে সার্কল, সেন্ট্রাল হাইওয়ে সার্কল, নর্দার্ন হাইওয়ে সার্কল-সহ সব সার্কলের অধীনস্থ সড়ক বিভাগের সম্পত্তির নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলান তাঁরা। সংশ্লিষ্ট সার্কলগুলির মধ্যে যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বারাসত, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ পড়ে, তেমনই পড়ে বর্ধমান, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, তমলুক হাইওয়ে-সহ একাধিক ডিভিশনও। দফতরের আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এর আগে ২০১২ ও ২০১৪ সালে ওই নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হয়েছিল। তাতে কিছু সংশোধনীও করা হয়। চুক্তির মেয়াদও সেই নির্দেশিকা মেনেই করা হচ্ছে। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘নিরাপত্তারক্ষীদের বেতন-সহ আনুষঙ্গিক সব খরচ ‘আউটসোর্সিং অব সিকিওরিটি, ক্লিনিং অ্যান্ড হাউসকিপিং সার্ভিসেস’ খাত থেকে করা হচ্ছে।’’