দৃর-দৃষ্টি: চলছে শুটিংয়ের প্রশিক্ষণ। ছবি: শৌভিক দে
শুধু ফুটবল বা ক্রিকেট নয়, শুটিংয়ের মতো অপেক্ষাকৃত কম জনপ্রিয় খেলা সাধারণের কাছাকাছি আনতে নিউ টাউনে মাস কয়েক আগে চালু হয়েছিল শুটিং রেঞ্জ। হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানান, স্বাধীনতা দিবসে নিউ টাউন অ্যাকশন এরিয়া ওয়ানের সিজি ব্লকের বিজনেস ক্লাবে চালু হওয়া সেই শুটিং রেঞ্জটি বর্তমানে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে ক্লাবের সদস্যেরা এর সুবিধা পাচ্ছেন। ধীরে ধীরে সকলের জন্য খুলে দেওয়া হবে শুটিং রেঞ্জ।’’ শুটিং রেঞ্জটি চালাচ্ছে নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি।
দেবাশিসবাবু জানান, নিউ টাউনে ইকো পার্কের কাছে গল্ফ শেখানো হয়। তা বেশ জনপ্রিয়ও হয়েছে। পেশাদার শিক্ষকদের সাহায্যে এ রকমই অপেক্ষাকৃত কম জনপ্রিয় আরও কিছু খেলা সাধারণের কাছাকাছি পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন হিডকো কর্তৃপক্ষ। প্রশিক্ষক রেখে বাস্কেট বল, স্কোয়াশ, রোলার স্কেটিং শেখানো শুরু হয়। এর পরেই শুটিং রেঞ্জ শুরুর কথা ভাবেন তাঁরা। ভবিষ্যতে এই ধরনের আরও কিছু কম জনপ্রিয় খেলা শেখানো হবে বলে জানান হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন।
গোটা কলকাতায় শুটিং রেঞ্জের সংখ্যা হাতে গোনা। হিডকো কর্তৃপক্ষ জানান, যাঁরা শুটিংয়ের প্রাথমিক পাঠ নিতে চান, এই রেঞ্জে তাঁদের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। আবার পেশাদার শুটার হওয়ার জন্য যা যা উপকরণ লাগে, সেই সব আধুনিক সরঞ্জাম রয়েছে এই রেঞ্জে। প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে পাঁচটি টার্গেট। ভবিষ্যতে টার্গেটের সংখ্যা বাড়ানো হবে। যাঁরা এক দিনের জন্য শুটিংয়ের মজা নিতে চান, তাঁদের জন্যও রয়েছে আলাদা বন্দোবস্ত। পেশাদারদের মতোই বন্দুক-সহ সব ধরনের সরঞ্জাম নিয়ে তাঁরা শুটিং করতে পারেন। নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম যিনি খেলবেন, তিনি ৫০ টাকায় ১০ মিনিট শুটিং এবং ১০টি গুলি বিনামূল্যে ছুড়তে পারবেন।
নিউ টাউন বাসস্ট্যান্ডের কাছে এক আবাসনের বাসিন্দা সৌরভ দত্ত বার কয়েক এসেছেন শুটিং রেঞ্জে। তিনি বললেন, ‘‘শহরে কম খরচে গল্ফ, বাস্কেট বল, রোলার স্কেটিংয়ের মতো খেলার ভাল প্রশিক্ষণকেন্দ্র পাওয়া খুব কঠিন। আমার নিজের রোলার স্কেটিংয়ে খুব উৎসাহ ছিল। কিন্তু প্রশিক্ষণের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। নিউ টাউনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা চালু হওয়ায় আমার মতো অনেকেই উৎসাহ পাচ্ছেন। ফুটবল, ক্রিকেট ছাড়া অন্য খেলাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করলে আমার মতো অনেক খেলা পাগল মানুষ উপকৃত হবেন।’’ শুটিং রেঞ্জ শুরু হওয়ায় খুশি চিনার পার্ক এলাকার বাসিন্দা অনিমেষ চৌধুরী, তিনি নিজে এক জন পেশাদার শুটার। অনিমেষ বলেন, ‘‘অনেক দিন ধরে এলাকায় ভাল শুটিং রেঞ্জের খোঁজ করছিলাম। এটা হওয়া সুবিধে হল। এ বার থেকে এখানেই অনুশীলন করতে পারব জেনে খুব ভাল লাগছে।’’