প্রতীকী ছবি।
আঁতুড় ঘরের অসুখ সারিয়ে দাপিয়ে ছুটছে কলকাতা মেট্রোর নতুন এসি রেক। সম্প্রতি যাত্রী পরিষেবায় নেমেছে চেন্নাই থেকে এসে পৌঁছনো মেট্রোর একাদশতম এসি রেকটিও। দ্বাদশতম নতুন রেকটিকে নিয়ে আপাতত কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চলছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সেটিও চালু হবে বলেই খবর।
চেন্নাই থেকে এসে পৌঁছনোর পরে সমস্যা কাটিয়ে প্রথম দু’টি এসি রেককে যাত্রী পরিবহণের উপযোগী করে তুলতেই সময় লেগেছিল দু’বছরের বেশি। এর পরে গত দেড় বছরে সমস্যা কাটিয়ে মেট্রোর নতুন রেকগুলির পরিষেবার হাল অনেকটাই ফিরেছে। দীর্ঘ সময় পরে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় রেকের আকাল ঘুচতে শুরু করায় স্বস্তিতে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অল্প সময়ের ব্যবধানে ১১টি নতুন রেক পরিষেবায় যুক্ত হয়েছে। দ্বাদশ রেকটিকেও দ্রুত যাত্রী পরিবহণের কাজে নামানোর বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’’
উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় আগেই পুরনো ১৩টি এসি রেক ছিল। এখন তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও ১১টি এসি রেক। ফলে মেট্রোয় এসি রেকের সংখ্যা এখন ২৪। এ ছাড়াও আরও খান ছয়েক নন এসি রেক রয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের হাতে। তবে বহু দিন ধরেই একান্ত উপায় না থাকলে মেট্রোয় নন এসি রেকের ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে। চলতি পর্বে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরির (আই সি এফ) মেধা সিরিজের ১৪টি রেক আসার কথা। তার মধ্যে ১২টি ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে। চিনের ডালিয়ান সংস্থার একটি রেক নিয়ে এখনও পরীক্ষা–নিরীক্ষা চলছে।
করোনা-আবহে এখন সারাদিনে ট্রেনের সংখ্যা আগের তুলনায় কমেছে। তবুও এসি রেকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মেট্রোয় স্বাচ্ছন্দ আগের তুলনায় বেড়েছে বলে মনে করছেন যাত্রীদের একাংশ।
মেট্রো সূত্রের খবর, শুরুর দিকের এসি রেকগুলি নিয়ে ক্রমাগত সমস্যার পরে আই সি এফ এবং মেট্রোর প্রোপালসন (মোটর নির্মাণ প্রযুক্তি) নির্মাণ সংস্থার কর্তারা ত্রুটি বিচ্যুতি কাটাতে বিশেষ ভাবে তৎপর হন। সংস্থার কর্তারা একাধিক বার এসে কলকাতা মেট্রোর ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখে রেকগুলিতে প্রয়োজনীয় বদল আনার কাজ সম্পন্ন করাতেই পরের দিকে অনেকটাই দ্রুত একের পর একে নতুন রেক যাত্রী পরিষেবার কাজে লাগানো গিয়েছে।