প্রতীকী ছবি
কোনও দফতরের কর্মী কোভিড পজ়িটিভ হলে সংশ্লিষ্ট দফতর পাঁচ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে। সেই সময়ের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট দফতরে জীবাণুনাশের কাজ হবে। এমনকি দফতরের অন্য কর্মীদের কোভিড পরীক্ষাও হবে তখনই। এই মর্মেই নির্দেশ জারি করল কলকাতা পুরসভা।
তবে কোনও কর্মী পজ়িটিভ হলে সংশ্লিষ্ট দফতর বন্ধের পরিবর্তে গোটা পুরসভা কেন বন্ধ করা হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কর্মীদের একটি অংশ। তাঁদের প্রশ্ন, সংশ্লিষ্ট কর্মী নিজের দফতর থেকে যে পুরসভার অন্যত্র যাননি, সেই নিশ্চয়তা কোথায়? বরং সেটাই স্বাভাবিক। ফলে শুধু একটি দফতর বন্ধ করে জীবাণুনাশ করলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে তাঁরা।
যদিও পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কোভিড সংক্রমণ যাতে না ছড়িয়ে পড়ে, সেই কারণে অনেক আগে থেকেই পুরসভায় দূরত্ব-বিধি, হাত ধোয়া, মাস্ক পরা-সহ যাবতীয় নিয়ম পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার পরেও কেউ সংক্রমিত হলে, তখনই সংশ্লিষ্ট দফতর বন্ধের কথা বলা হয়েছে।
কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন দফতরে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িত নয় এমন দফতরগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মীর উপস্থিত থাকার নির্দেশিকা সোমবারই ঘোষণা হয়েছিল। স্থির হয়েছে, কর্মী এবং আধিকারিকেরা এক দিন বাদ দিয়ে পরের দিন (অল্টারনেট ডে) অফিসে যাবেন। সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রধানদের ডিউটি-চার্ট তৈরি করতেও বলা হয়েছে। নির্দেশিকা মেনেই মঙ্গলবার ওই দফতরগুলিতে কাজে যোগদানের হার অর্ধেক ছিল বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। অন্য দিকে, স্বাস্থ্য, জঞ্জাল সাফাই, পানীয় জল সরবরাহ, নিকাশি, আলো-সহ জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িত দফতরের কর্মী, আধিকারিকদের একশো শতাংশকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে যাঁরা বাইরে কাজ করবেন, সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকেরা প্রয়োজন অনুযায়ী তাঁদের রোস্টার করবেন।
কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ক্লার্কস ইউনিয়ন-এর সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরাও চাই জরুরি পরিষেবা চালু থাকুক। সে জন্য কর্মীও দরকার। কিন্তু উপস্থিত কর্মীর সংখ্যা কমাতে জরুরি দফতরের তালিকা থেকে অ্যাসেসমেন্ট, ফিনান্স বাদ দেওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব।’’ এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘সংক্রমণ ঠেকাতে সমস্ত চেষ্টাই হচ্ছে। সেই সঙ্গে পরিষেবায় যাতে কোনও খামতি না থাকে, তারও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: জৈব আনাজ ও মাছ বেচে ভাঁড়ারে এল ৯০ লক্ষ
পুরসভা চত্বরে স্বাস্থ্য দফতরের জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র বিভাগের কর্মীরা সোমবার কর্মবিরতি পালন করেছিলেন। তবে এ দিন সকালে ওই দফতরে কর্মীরা কাজ যোগ দেন। মির্জ়া গালিব স্ট্রিটের কাউন্টার পূর্ব ঘোষণা মতো বুধবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।