প্রতীকী ছবি।
জলের পাইপ বসানোর জন্য রাস্তা খোঁড়া এবং তার জন্য যান চলাচল, পথচারীদের যাতায়াতের অসুবিধা থেকে শুরু করে সেই খোঁড়া রাস্তা বোজানোর জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় যানজটের সমস্যা নিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায়ই অভিযোগ আসে কলকাতা পুর প্রশাসনের কাছে। যদিও রাজ্য প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, এই সমস্যা শুধু কলকাতা পুর এলাকায় সীমাবদ্ধ নেই। বরং তা সব জায়গাতেই রয়েছে। এ বার সেই সমস্যা দূর করতে রাস্তা খুঁড়ে পাইপ বসানোর ক্ষেত্রে নিয়মবিধি জারি করল রাজ্য পূর্ত দফতর।
সম্প্রতি জারি হওয়া ওই নিয়মবিধি দফতরের সব আধিকারিকদের পাশাপাশি রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, সেচ ও জলপথ, কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-সহ রাজ্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দফতর ও সংস্থায় পাঠানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, রাস্তা সম্প্রসারণ, উন্নয়নের জন্য জলের পাইপলাইন স্থানান্তর বা পানীয় জল সরবরাহের নতুন পাইপলাইন বসানোর ক্ষেত্রে আড়াই বছরেরও আগে জারি করা নির্দেশিকায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এই নিয়মবিধিতে নতুন পাইপলাইন বসানোর ক্ষেত্রে ব্যস্ত রাস্তার পরিবর্তে সেই রাস্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, যেখানে কম যানবাহন চলে। তবে প্রযুক্তিগত ভাবে বা স্থানিক সমস্যার কারণে একান্তই তা সম্ভব না হলে রাস্তার একটি প্রান্তে পাইপ বসানোর কথা বলা হয়েছে। যাতে যান চলাচলের উপরে ন্যূনতম প্রভাব পড়ে। প্রশাসনের কর্তারা জানাচ্ছেন, প্রকল্পের ব্যয়-বরাদ্দ নির্ধারণের আগে জনস্বাস্থ্য কারিগরি এবং পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা যৌথ ভাবে এলাকার জমি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবেন।
দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘পাইপলাইন বসানোর জন্য রাস্তা খোঁড়া আটকাতে, বিশেষ করে মোড়গুলিতে মাইক্রো টানেলিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।’’ সাময়িক ভাবে রাস্তা মেরামতির ক্ষেত্রে কোন বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে, নিয়মবিধিতে তা উল্লেখ করার পাশাপাশি আরও বলা হয়েছে, সাময়িক ভাবে রাস্তা মেরামতির দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারদের রাস্তার নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাগ্রে নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক। যাতে পাইপ বসানোর অব্যবহিত পরে কোনও ঝুঁকি ছাড়াই ওই জায়গা দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারে। আর, পাকাপাকি ভাবে রাস্তা মেরামতির ক্ষেত্রে পূর্ত দফতরের নথিভুক্ত ঠিকাদারেরা কাজ করবেন। তবে রাস্তার কত নীচে পাইপ বসানো হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা। সে ক্ষেত্রেও ভবিষ্যতে রাস্তা মেরামতির সময়ে উদ্ভূত ভূকম্পনের প্রভাব পাইপলাইন বা সংশ্লিষ্ট এলাকার জমিতে যাতে না পড়ে, তা দেখা হবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।