Railways

Memu Train: নয়া প্রযুক্তির ‘মেমু’ রেক চালু করল রেল

আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় অ্যালার্ম চেন ও ইমার্জেন্সি বাটন রয়েছে। সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চালাতে গার্ডের কামরায় আছে মনিটর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:১৫
Share:

চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে আপাতত দু’টি রেক এসেছে। ফাইল চিত্র।

এ রাজ্যে আধুনিক প্রযুক্তির মেমু রেক প্রথম ছুটবে শিয়ালদহ ডিভিশনে। ওই ট্রেনে মাঝারি দূরত্বেও মিলবে এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রায় সমতুল স্বাচ্ছন্দ্য। যদিও ভাড়ার হার লোকাল ট্রেনের মতোই হবে। মঙ্গলবার ব্যারাকপুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই রেকের যাত্রার সূচনা করেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ ও জগন্নাথ সরকার। অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে আপাতত দু’টি রেক এসেছে। আসবে মোট চারটি। সব ক’টিই চলবে শিয়ালদহ-লালগোলা শাখায়।

Advertisement

বর্তমানে সারা দেশেই যাতায়াতের সময় ও রক্ষণাবেক্ষণের ঝক্কি কমাতে মাঝারি দূরত্বের প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলিকে মেমু (মেনলাইন ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট)-তে পরিবর্তিত করছে রেল। এত দিন ইলেকট্রিক বা ডিজ়েল ইঞ্জিনের সঙ্গে সাধারণ শ্রেণির কামরা জুড়ে ওই সমস্ত ট্রেন চালানো হত। পরে কিছু ক্ষেত্রে লোকাল ট্রেনে সামান্য অদলবদল ঘটিয়ে, তাতে শৌচালয় যোগ করে চালানো শুরু হয়। তবে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি থ্রি-ফেজ় ‘মেনলাইন ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট’ বা মেমু রেকগুলি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের কথা ভেবেই তৈরি। ১২ কোচের ওই রেকগুলি স্টেনলেস স্টিলের হওয়ায় অনেকটাই হাল্কা। ইথারনেট-নির্ভর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছাড়াও জিপিএস-নির্ভর প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম রয়েছে। ট্রেনের টেলর কোচে থাকছে জৈব-শৌচাগার। প্রতিটি কামরায় গদি আঁটা আসন ছাড়াও চারটি সিসি ক্যামেরা, আধুনিক আলো ও ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড থাকছে। আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় অ্যালার্ম চেন ও ইমার্জেন্সি বাটন রয়েছে। সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চালাতে গার্ডের কামরায় আছে মনিটর।

মেমুর সর্বাধিক গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। প্রত্যেক রেকে মেট্রোর মতো রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম থাকায় বছরে এক-একটি রেকের বিদ্যুতের খরচ বাবদ ৭০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় হবে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘নতুন রেকগুলিতে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা অনেকটাই বাড়বে। সফরের সময় ও রক্ষণাবেক্ষণের ঝক্কিও কমবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement